Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

দশ মাসেও উদ্ধার হল না নিখোঁজ কিশোরী

পরিবারের আইনজীবী জানান, জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে মেয়ের খোঁজ জানতে চেয়ে আবেদন জানান তার মক্কেল।

দীক্ষা ভুঁইয়া
শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৮ ০২:৩৩
Share: Save:

হাইকোর্টের নির্দেশের পরে পেরিয়ে গিয়েছে মাসখানেক।

অভিযোগ, তার পরেও বছর ষোলোর এক নাবালিকাকে উদ্ধার করতে পারল না কলকাতা পুলিশ। আরও অভিযোগ, হাইকোর্ট যে সময়সীমার মধ্যে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারকে (অপরাধ দমন) আদালতের সামনে রিপোর্ট জমা করতে বলেছিলেন, পুলিশ তা-ও করতে পারেনি। বুধবার এমনই দাবি করেছেন ওই নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারের আইনজীবী উদয়কুমার ঝা।

উদয়কুমার জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ৯ জুন গার্ডেনরিচ থানা এলাকার মেহর মঞ্জিলের বাসিন্দা বছর ষোলোর এক দশম শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ হয় বলে থানায় অভিযোগ জানায় তার পরিবার। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে নিখোঁজ ডায়েরি এবং পরের দিন অপহরণের মামলা দায়ের করে। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, ওইটুকু করেই পুলিশ দায় সারে। মাসের পর মাস কেটে যায়, মেয়ের খোঁজ মেলে না।

পরিবারের দাবি, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ওই নাবালিকার ভাইঝি তাকে ফতেপুর মোড়ে রাজাবাগান এলাকার যুবক মিন্টু আলির মোটরবাইকে দেখতে পায়। এর পরেই যুবকের পরিচয়, নাম, ঠিকানাও পুলিশকে দিয়ে আসেন নিখোঁজ কিশোরীর বাবা। অভিযোগ, সেই সময়ে রাজাবাগানে ওই যুবকের বাড়িতে তাঁকে নিয়ে কয়েক বার পুলিশ গেলেও ওই যুবকের খোঁজ মেলেনি। হদিস মেলেনি মেয়েরও। তার পর থেকে থানায় গিয়ে কোনও লাভ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

পরিবারের আইনজীবী জানান, জানুয়ারিতে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের আদালতে মেয়ের খোঁজ জানতে চেয়ে আবেদন জানান তার মক্কেল। ওই আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালত গার্ডেনরিচ থানার অফিসার ইন-চার্জকে মেয়েটির খোঁজ করতে পুলিশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চায়। উদয়কুমার বলেন, ‘‘ওই মামলায় থানার ওসি আদালতের সামনে যে রিপোর্ট পেশ করেন, তাতে অসন্তুষ্ট হন বিচারপতি। এর পরেই তিনি কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনারকে (অপরাধ দমন) নির্দেশ দেন অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি করে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে।’’

কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে গেলে তারা বলে মেয়েকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। প্রথম প্রথম জানতামই না মেয়ে কোথায় রয়েছে। কিন্তু নাতনি যখন এসে বলল মিন্টু আলির সঙ্গে মেয়েকে দেখেছে, তখন নিশ্চিত হই ওই ছেলেই মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সব জানিয়েও মেয়েকে ফেরত পেলাম না।’’

যুগ্ম কমিশনারকে (অপরাধ দমন) প্রবীণ ত্রিপাঠীকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। উত্তর দেননি মেসেজেরও।

অন্য বিষয়গুলি:

Teenage Missing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE