Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

পুরসভার স্কুল দত্তক চেয়ে চিঠি

সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার অধীনে এমন একাধিক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা কম।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৮ ০২:৪১
Share: Save:

৮৩ নম্বর আলিপুর রোডে পুরসভার একটি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে। সেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা নগণ্য। এলাকার গুরুত্ব বুঝে এ বার সেই স্কুল ভবনে কেবল মেয়েদের জন্য অবৈতনিক ভাবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে চায় এক বেসরকারি সংস্থা। তার জন্য স্কুলটি দত্তক নিতে চেয়ে মেয়রকে চিঠি দিয়েছে ওই সংস্থা। যদিও পুরসভার একাধিক অফিসারের বক্তব্য, দত্তক দেওয়া মানে তো পরোক্ষ ভাবে স্কুলের আধিপত্য ওই সংস্থার হাতে চলে যাবে। তাই ওই প্রস্তাব নিয়ে এখনই কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ওই সংস্থাকে পুর প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।

সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভার অধীনে এমন একাধিক স্কুল রয়েছে যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা কম। পুর আধিকারিকদের অনেকের মত, বাংলা মাধ্যমে পড়াতে অভিভাবকেরা পছন্দ করছেন না বলেই এই হাল পুরসভার বহু স্কুলের। আলিপুরের ওই স্কুলটি তেমনই একটি। সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কাছে ওই স্কুলটির মানোন্নয়ন নিয়ে আবেদন করে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হবে। নিয়োগ করা হবে দক্ষ শিক্ষক। সঙ্গে শারীরচর্চা, চিত্রকলা শেখারও সুযোগ থাকবে ।

মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, আলিপুরে পুরসভার স্কুলে ওই ধরনের সুযোগ মিললে তা এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষে ভাল। এর জন্য পুরসভাকে কোনও ব্যয় করতে হবে না বলে ওই সংস্থাটি জানিয়েছে। তাই প্রস্তাবটি পুর প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পুরসভা সূত্রের খবর, মেয়র পারিষদের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর পরেই পুরসভার শিক্ষা দফতরকে পুরো বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, মঙ্গলবার সংস্থার প্রতিনিধি পুরসভায় এসেছিলেন। তবে স্কুলটি দত্তক দেওয়া নিয়ে পুরসভার যে আপত্তি রয়েছে, তা তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, ওই সংস্থা ঠিক কী করতে চায়, তা লিখিত ভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

private company KMC School School Adoption
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE