ফাইল চিত্র।
কোনও বাড়ি বেআইনি। কোনও বাড়ির শরিকি ঝামেলা আবার আইনের চৌকাঠ পর্যন্ত গড়িয়েছে। অথচ সেই সমস্ত বাড়ি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে একটি চক্র। যার ফল দাঁড়াচ্ছে, ওই চক্র কমিশন বাবদ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাচ্ছে। আর বেআইনি-আইনি জটিলতায় থাকা বাড়ি কিনে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ কলকাতা পুরসভায় এসে পৌঁছেছে।
এর সুরাহায় এ বার শহরের বেআইনি, মামলা চলছে এমন সমস্যা-সহ বাড়ির তালিকা নিজেদের ওয়েবসাইটে দিতে চলেছেন কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ। যাতে কোনও বাড়ি কেনার আগে ক্রেতারা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি সম্পর্কে একটাআভাস পান। তবে একই সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, এই তালিকা নাগরিকদের জন্য একটি সচেতনবার্তা। অর্থাৎ, এটি দেখে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি সম্পর্কে ক্রেতারা একটি প্রাথমিক ধারণা করতে পারবেন। কিন্তু এই তালিকা থেকে সম্পত্তিসংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি বিশদে জানা সম্ভব নয়। পুর প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘আমরা নাগরিকদের ঝামেলা মেটাতে সহায়তা করছি মাত্র। তবে সম্পত্তি কেনার আগে প্রত্যেকেরই উচিত সম্পত্তির কাগজপত্র বা তারমালিকানা সংক্রান্ত কোনও গোলমাল রয়েছে কি না, সেটা ভাল করে খতিয়ে দেখা।’’
পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, যে চক্র বা দালালদের কথা বলা হচ্ছে, তারা আগে ছিল না এমন নয়। তারা বরাবরই ছিল। বাড়ির জাল নকশা, মালিকানার জাল নথিপত্র দেখিয়ে তারা বাড়ি বিক্রি করত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এমন দালালদের সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘গত কয়েক মাসে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। সেই অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে আলোচনার পরেই ওয়েবসাইটে এমন বাড়ির তালিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়রও বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়েছেন।’’
আধিকারিকদের একাংশের এ-ও বক্তব্য, আর একটি তালিকাও পুর ওয়েবসাইটে দেওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তা হল শহরের বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা। কারণ, কোনও বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়ার পরে শহরে এমন বাড়ির সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রতি বারই পুর কর্তৃপক্ষ জানান, সংখ্যাটা তিন-সাড়ে তিন হাজার। অর্থাৎ, প্রতি বছর বাড়ি ভেঙে পড়লেও সেই সংখ্যায় কোনও পরিবর্তন হয় না। তা ছাড়া অনেক পুরনো বাড়ি রয়েছে যেগুলির কাঠামো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভঙ্গুর হয়ে বিপজ্জনক মাত্রা অতিক্রম করল কি না, তা-ও জানা যায় না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আপাতত এই বেআইনি-আইনি জটিলতাযুক্ত বাড়ির তালিকা তৈরি হোক। বিপজ্জনক বাড়ির বিষয়টি নিয়ে কথা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy