প্রতীকী ছবি।
খাল আছে। আশপাশের জলমগ্ন এলাকা থেকে সেখানে জল ফেলার জন্য পাঁচটি পাম্পও মজুত রয়েছে। আর পাম্প চালানোর জন্য নিয়োগ করা হয়েছে লোকও। অথচ খাল পরিদর্শনে গিয়ে সেটারই অস্তিত্ব খুঁজে পেল না কলকাতা পুরসভা!
খাতায়কলমে থাকা সেই নিকাশি, এক সময়ে নয়ানজুলি ছিল। পুরসভা সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচ জল প্রকল্পের কাছে মহেশতলার সন্তোষপুর রোডের পাশেই ওই নয়ানজুলি। অভিযোগ, প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ ওই নয়ানজুলি বুজিয়ে দোকান-ঝুপড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মহেশতলায় সন্তোষপুর রোডে সেই ‘খাল’ সংস্কার দেখতে গিয়েই রীতিমতো তাজ্জব কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা নিকাশি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত তারক সিংহ-সহ পুর প্রতিনিধিরা। ওই পরিদর্শক দলে ছিলেন প্রশাসকমণ্ডলীর আর এক সদস্য শামসুজ্জামান আনসারি, ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর রঞ্জিত শীল এবং মহেশতলার স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর।
পুর তথ্য বলছে, গার্ডেনরিচ জল প্রকল্পের পলি মিশ্রিত জল ছাড়াও মহেশতলার একাংশের বৃষ্টির জমা জল ওই নয়ানজুলি দিয়ে এক সময়ে প্রবাহিত হয়ে মণিখালি খালে পড়ত। বছর কুড়ি আগেও নয়ানজুলির অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু খাল বুজে যাওয়ায় পলি মিশ্রিত জল, সন্তোষপুর রোডের উল্টো দিকের সঙ্কীর্ণ পথে প্রবাহিত হচ্ছে। এ দিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, যে জায়গায় নয়ানজুলি ছিল, তার উল্টো দিকে সঙ্কীর্ণ খালে প্রচুর পলি জমে। সেই পলি সরানো শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
তারকবাবুর অভিযোগ, ‘‘চার কিলেমিটার নয়ানজুলি বুজিয়ে একাধিক দোকান তৈরি হওয়ায় ওই এলাকায় জল জমে থাকছে। স্ল্যাবের উপরে দোকান রেখে ওই বুজে যাওয়া খাল কী ভাবে সংস্কার করা হবে, তা নিয়ে পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলব।’’ ক্ষুব্ধ তারকবাবু বলেন, ‘‘খাল বুজে যাওয়ার পরেও পাঁচটি পাম্প বসানো হয়েছে। অথচ সেগুলি বন্ধই থাকত! সব সরিয়ে নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy