শহরের এক বিপজ্জনক বাড়ি। ফাইল চিত্র
মেরামতির পরে নতুন বাড়িতে তাঁরা জায়গা পাবেন কি না, অনেক সময়ে বিপজ্জনক বাড়ির ভাড়াটেদের মধ্যে সেই সংশয় থাকে। তাই বহু ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক বাড়ি সারানোর ক্ষেত্রে ভাড়াটেদের একাংশ মত দিতে চান না। যে সমস্ত বিপজ্জনক বাড়িতে ভাড়াটে রয়েছেন, সেগুলি মেরামতির ক্ষেত্রে এটাই অন্যতম সমস্যা বলে জানাচ্ছেন কলকাতা পুর আধিকারিকদের একাংশ। এত দিন পুর প্রশাসনের তরফে ভাড়াটেপক্ষকে বোঝানো হত। এ বার বিপজ্জনক বাড়ি মেরামতির পরে সেখানে যাতে ভাড়াটেদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল পুর প্রশাসন।
সম্প্রতি জারি করা ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে, বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে নতুন ভাবে তৈরির সময়ে যে নকশা পাশ করা হবে, তাতে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রেমিসেস টেন্যান্সি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ভাড়াটেদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। কত জন ভাড়াটে আছেন, কোন তলে তাঁরা থাকেন, তাঁদের জায়গা কত— এমন সমস্ত তথ্য আগে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে পুরসভায় জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন করে তৈরির ক্ষেত্রে যে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই, সে কথাও প্রত্যেক ভাড়াটের থেকে লিখিত ভাবে জমা নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিককে। নতুন নকশায় প্রত্যেক ভাড়াটের নাম ও তাঁর কতটা জায়গা থাকবে, উল্লেখ থাকবে তারও।
পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘নতুন বাড়িতে তাঁরা আর জায়গা পাবেন না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাড়াটেদের এমন একটা সংশয় থাকে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সে ব্যাপারে বোঝাচ্ছি যে বৈধ ভাড়াটে হলে কোনও অসুবিধা নেই। তাঁরা ঠিকই জায়গা পাবেন। তবে প্রত্যেক ভাড়াটের বৈধ পরিচয়পত্র
থাকাটা বাধ্যতামূলক।’’
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিপজ্জনক বাড়ির মূল সমস্যা হয় শরিকি ঝামেলা অথবা মালিক-ভাড়াটে দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বের কারণেই বিপজ্জনক বাড়ি সংক্রান্ত আইন চালুর পরেও পরিস্থিতি পাল্টানো যাচ্ছে না। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আইন করেও যে রাতারাতি পরিস্থিতি পাল্টেছে তা নয়। তবু আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy