আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।—ফাইল চিত্র।
নিরাপত্তার নামে বন্দিদের স্বার্থ বিরোধী কার্যকলাপ চলছে। এমন অভিযোগ জানিয়ে মঙ্গলবারের পরে বুধবার সকালে ফের বিক্ষোভে শামিল হন আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের বন্দিদের একাংশ। এ দিন তাঁরা অনশনও করেন। অবশ্য কয়েক ঘণ্টা পরে অনশন থেকে সরে দাঁড়ান বিক্ষোভকারীরা। মঙ্গল ও বুধবার এ সবের মাঝে সংশোধনাগারের পাঁচিলের কাছ থেকে মোবাইল এবং চার্জারের প্যাকেট উদ্ধার করেন কর্তৃপক্ষ।
বন্দিদের অভিযোগ, মঙ্গলবার কালীপুজো উপলক্ষে তাঁদের বাড়ি থেকে আসা সামগ্রী প্রবেশে বাধা দেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তা নিয়ে ওই দিন বিক্ষোভ হয়। যদিও এর পরে সংশোধনাগারের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কালীপুজো নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হয়। এ দিন সকাল হতেই মঙ্গলবারের ঘটনার রেশ ধরে অনশনে শামিল হন বন্দিদের একাংশ। যাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ বিচারাধীন বন্দি। অভিযোগ, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাঁদের পরিজনেরা। পরিজনেদের আনা ওষুধ বন্দিদের কাছে পৌঁছতে বাধা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। এমনকি গভীর রাতে ওয়ার্ডে তল্লাশি অভিযানও চালানো হয় বলে তাঁদের অভিযোগ।
পরিস্থিতি সামলাতে বুধবার বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন কারা দফতরের ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি) বিপ্লব দাস। তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে যান এআইজি (দক্ষিণবঙ্গ) বিপ্লব দাশগুপ্ত। কারা দফতর সূত্রে খবর, তাঁর সঙ্গে বন্দিরা কথা বলার কিছু ক্ষণ পরে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর পরেই অনশন থেকে সরে আসেন বন্দিরা।
কারা দফতরের এক আধিকারিক জানান, কোনও প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ সংশোধনাগারে ঢোকানো যায় না। আর আচমকা তল্লাশি অভিযান না হলে বেআইনি জিনিসের অনুপ্রবেশে রাশ টানাও সম্ভব নয়। সম্প্রতি জেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়েই মোবাইল-সহ অন্য বেআইনি সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে সংশোধনাগারের পাঁচিলের পাশ থেকে থার্মোকল ও সেলোটেপে মোড়ানো বাক্স থেকে চারটি মোবাইল এবং দু’টি চার্জার উদ্ধার হয়। বুধবার সকালেও পাঁচিলের পাশ থেকে মোবাইল-সহ কয়েকটি প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। আলিপুর থানায় জেল থেকে মোবাইল উদ্ধারের অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy