Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

প্রতিমা মাইতিকে আমি চিনি না, বললেন ধৃত আলমের স্ত্রী

গিরিশ পার্কে মহিলা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আলম আলিকে মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার ভরতপুর থেকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে দাসপুর থানার পুলিশও ছিল। রাতেই আলম আলিকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ কুড়ি বছরেরও বেশি ভরতপুরে রয়েছে আলম। আদতে হুগলির খানাকুলে বাসিন্দা আলমের সঙ্গে ঘাটাল শহরের মমতা বিবির বিয়ের পরই তারা দাসপুরের ভরতপুরে চলে আসে। ভরতপুরে আলমের মামা শ্বশুরের বাড়ি। পেশায় কাঠের মিস্ত্রী আলম সম্প্রতি জমি কেনা-বেচার ব্যবসা শুরু করেছিল। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে থাকে ইনদওরে। আর ছোট ছেলে অজমেঢ়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৫ ১৭:০৯
Share: Save:

গিরিশ পার্কে মহিলা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আলম আলিকে মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার ভরতপুর থেকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে দাসপুর থানার পুলিশও ছিল। রাতেই আলম আলিকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘ কুড়ি বছরেরও বেশি ভরতপুরে রয়েছে আলম। আদতে হুগলির খানাকুলে বাসিন্দা আলমের সঙ্গে ঘাটাল শহরের মমতা বিবির বিয়ের পরই তারা দাসপুরের ভরতপুরে চলে আসে। ভরতপুরে আলমের মামা শ্বশুরের বাড়ি। পেশায় কাঠের মিস্ত্রী আলম সম্প্রতি জমি কেনা-বেচার ব্যবসা শুরু করেছিল। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে থাকে ইনদওরে। আর ছোট ছেলে অজমেঢ়ে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

দাসপুরেরই সাগরপুর সংলগ্ন রামকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা প্রতিমা মাইতির সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে পরিচয় হয় আলমের। প্রতিমাদেবীর স্বামী পেশায় সোনার কারিগর দিলীপ মাইতির সঙ্গে আলমের ঘনিষ্ঠতা ছিল। প্রতিমাদেবীর বাপের বাড়ি দাসপুরেরই লাউদা গ্রামে। তবে গ্রামের বাড়িতে তাঁদের বিশেষ যাতায়াত ছিল না।

মঙ্গলবার রাতে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার একটি দল দাসপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আলম আলির বাড়িতে আসে। আলম তখন ঘুমোচ্ছিল। পুলিশ দেখেই ভেঙে পড়ে সে। পুলিশ জেরা শুরু করতেই খুনের কথা স্বীকার করে নেয়।

কিন্তু আলম এমন একটা কাণ্ড ঘটাতে পারে বলে বিশ্বাস করতে পারছে না এলাকাবাসী। আলম আলির স্ত্রী মমতা বিবিরও বক্তব্য, “আমরা কিছুই জানি না। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ বাড়িতে পুলিশ আসে। আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে চলে যায়। পরে সব জানতে পারি আমরা।”

মমতা আরও বলেন, “প্রতিমা মাইতিকে আমি চিনি না। তবে কাজ থাকলে আমার স্বামী কলকাতায় যেত। অনেক সময় রাতে থেকেও যেত। তবে কলকাতায় আমাদের অনেক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE