প্রতীকী ছবি
ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে নতুন মাঝেরহাট সেতু। কিন্তু তার পরেও জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রোর কাজের জন্য ডায়মন্ড হারবার রোডের আলিপুর-মোমিনপুর অংশে যানজটের ভোগান্তি কমছে না।
পুলিশ জানিয়েছে, নতুন ‘আজ়াদ হিন্দ সেতু’র উত্তর দিকে রিমাউন্ট রোড থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার রোডের উপরে ওই মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। যার মধ্যে রিমাউন্ট রোড থেকে মোমিনপুর মোড় পর্যন্ত স্তম্ভ নির্মাণের কাজ চলছে। সেখানে পথের মাঝখানে ছ’টি স্তম্ভ বসানোর কাজ চলার কারণেই রাস্তার একাংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জাজেস কোর্ট রোড এবং ন্যাশনাল লাইব্রেরি অ্যাভিনিউ দিয়ে ধর্মতলার দিকে কোনও গাড়ি যেতে গেলে তার গতি দিনের ব্যস্ত সময়েই বাধা পাচ্ছে। ফলে সকালের দিকে যানজটের জেরে গাড়ির সারি পৌঁছে যাচ্ছে মাঝেরহাট সেতু পর্যন্ত।
লালবাজার জানিয়েছে, আগামী মাসে মোমিনপুর থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এর ফলে ধর্মতলা বা ডালহৌসিগামী গাড়িগুলি যানজটের মুখে পড়তে পারে। সেই পরিস্থিতি এড়াতে ওই রাস্তার উপরে গাড়ির চাপ কমাতে চাইছে পুলিশ। বর্তমানে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বেহালা, ঠাকুরপুকুর-জোকার গাড়ি ওই রাস্তা দিয়ে চলে। তারাতলার মোড় থেকে তার সঙ্গে মেশে মহেশতলা, বজবজ, পর্ণশ্রী ও জিঞ্জিরাবাজারের দিকে যাওয়ার গাড়িগুলিও। পুলিশ জানিয়েছে যদি মহেশতলা, বজবজ, পর্ণশ্রী, জিঞ্জিরাবাজারের গাড়ি তারাতলা মোড় পর্যন্ত না এসে বন্দর এলাকা হয়ে যায়, তা হলে ধর্মতলা বা ডালহৌসি পৌঁছতে সময় কম তো লাগবেই, সেই সঙ্গে গাড়ির চাপ কমবে ওই রাস্তার উপরেও।
তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে যানজট এড়িয়ে ডালহৌসি কিংবা ধর্মতলায় নির্বিঘ্নে পৌঁছতে তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোডের বদলে বজবজ, মহেশতলা, জিঞ্জিরাবাজার, পর্ণশ্রী এলাকার বাসিন্দাদের বন্দর এলাকা দিয়ে যাতায়াত করার পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিঞ্জিরাবাজার, নেচার পার্ক, আসবেস্টস মোড় হয়ে সার্কুলার গার্ডেনরিচ, দুমায়ুন অ্যাভিনিউ, সুইং ব্রিজ, গার্ডেনরিচ রোড, কমিসরিয়েট রোড হয়ে গেলে গড়ে অনেক কম সময় লাগছে। এর জন্য বন্দর এলাকার বিভিন্ন রাস্তার ধার থেকে গাড়ি পার্কিং সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিনা ট্র্যাফিকে খুব সহজেই বন্দর এলাকা দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, গত সপ্তাহ থেকে জিঞ্জিরাবাজারের দিক থেকে আসা গাড়িগুলিকে ওই পরামর্শ দেওয়া শুরু হয়েছে। এমনকি, যে সব গাড়ি ওই রাস্তা ব্যবহার করছে, সেগুলির চালকদের ফোন করে এ বিষয়ে তাঁদের মতামতও জানতে চাওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার গাড়িচালকেরা যানজট এড়িয়ে যাতায়াত করতে পেরে এবং সময় বাঁচাতে পেরে খুশি বলে দাবি পুলিশের।
তবে ওই রাস্তা দিয়ে মূলত সকাল-বিকেলে যাতায়াত করার জন্যই এই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সকালে রাস্তায় লরি বন্ধ থাকে। বেলা ১২টার পর থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বন্দরের ওই রাস্তা দিয়ে লরি যাতায়াত করে। তাই পুলিশের আবেদন, সকাল-সন্ধ্যায় অফিসের ব্যস্ত সময়ে ধর্মতলা বা হাওড়ায় সহজে ও কম সময়ে পৌঁছে যাওয়ার পথ হিসেবে যেন রাস্তাটি ব্যবহার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy