উদ্ধার হয়েছে এমনই দু’টি তক্ষক। শনিবার, দত্তাবাদের একটি বাড়ি থেকে। নিজস্ব চিত্র
তক্ষকের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, অথচ ধরা যাচ্ছে না। অবশেষে শনিবার বাড়ির বাসিন্দারাই দু’টি তক্ষককে ধরে ফেলেন। শনিবার দত্তাবাদের ঘটনা। বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ এই ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম কমল সিংহ।
পুলিশ জানায়, দত্তাবাদের এক বাসিন্দা প্রথমে অভিযোগ করেন যে কমল বেআইনি ভাবে বাড়িতে তক্ষক রেখেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু কেন ওই মহিলা এই কাজ করেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই তক্ষকটিকে বন দফতরের বন্যপ্রাণ শাখার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই দত্তাবাদের আনন্দপুরে একটি আওয়াজ পাড়া-পড়শিদের কানে যাচ্ছিল। এমন আওয়াজ আগে কখনও শোনেননি তাঁরা। কিন্তু কোথা থেকে এই আওয়াজ বেরোচ্ছে, তার হদিস মেলেনি। ওই পাড়াতেই বেশ কয়েক বছর ধরে ভাড়ায় সপরিবার বসবাস করছিলেন বিহারের বাসিন্দা কমল সিংহ। শনিবার দুপুরে তিনি আচমকাই পাশের ভাড়াটের ঘরে ঢুকে কিছু খুঁজতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। তাতে বেজায় চটে যান ওই ভাড়াটে। কমল কী খুঁজছেন, তা অবশ্য বলতে চাননি। তার জেরেই বচসার শুরু। চেঁচামেচিতে পাড়ার লোকজন ছুটে আসেন। তখন কিছু না পাওয়া গেলেও বিকেলে ওই ভাড়াটের ঘরে তক্ষকটির খোঁজ মেলে। এর পরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তক্ষকটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় আটক করা হয় কমল ও তাঁর স্বামীকে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তক্ষকটিকে খাঁচায় বন্ধ করে রেখেছিলেন কমল। তাঁর বাড়িতে কিছু বহিরাগতের আনাগোনা ছিল বলেও অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ। কিন্তু কমল কেন তক্ষক বাড়িতে পুষছিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ওই তক্ষক থেকে নেশার রসদ সংগ্রহ করা হয় বলে তাঁরা এত দিন শুনেছেন। এ ক্ষেত্রে নেশার রসদ বিক্রি করা হতো কি না, তা খতিয়ে দেখা হোক। বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, ওই মহিলাকে নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ ছিল। কিন্তু প্রমাণ না মেলায় এত দিন কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy