Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

পাভলভে এখনও আতঙ্ক

মঙ্গলবার রাতের ছবিটা ছিল বেশ করুণ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডের বিভিন্ন তলার জানলার সামনে হাত বাড়িয়ে রোগীরা চিৎকার করছেন, ‘আমাদের বের কর।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০২:১৯
Share: Save:

পাভলভ মানসিক হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক কাটেনি সেখানকার রোগী এবং কর্মীদের মধ্যে।

মঙ্গলবার রাতের ছবিটা ছিল বেশ করুণ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডের বিভিন্ন তলার জানলার সামনে হাত বাড়িয়ে রোগীরা চিৎকার করছেন, ‘আমাদের বের কর। আমরা আটকে গিয়েছি।’ নার্সরা তাঁদের আশ্বাস দিচ্ছেন, কিছু হবে না। কিন্তু ধোঁয়া, চিৎকার, দমকলের গাড়ির আওয়াজ সব মিলিয়ে আতঙ্ক তাড়া করছিল রোগীদের। বুধবার দিনভর সেই ভয় লেগেছিল তাঁদের চোখে-মুখে।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের একতলায় একটি মিটার বক্সে আগুন লাগে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একতলায় আগুন লাগলেও ওই বিল্ডিংয়ের উপরের তলায় অনেক রোগী আটকে ছিলেন। হাসপাতালের নিয়ম মেনেই ভবনে ঢোকার দরজায় তালা মারা ছিল।
এই ঘটনার পরে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে রোগীদের নিরাপত্তার কী হত? আগুন ছড়িয়ে পড়লে, সব রোগীকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া কী সম্ভব ছিল? বেশি বিপদ বলার মাপকাঠিই বা কী?

যদিও বুধবার হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদ জানান, দমকলের পরামর্শ মেনেই হাসপাতাল কাজ করেছে। বড় কোনও বিপদ হলে রোগীদের বের করে আনার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দু’টি সিঁড়ি রয়েছে। মঙ্গলবার মহিলা ওয়ার্ডের সামনের সিঁড়ির পাশে মিটার বক্সে আগুন লাগে। বিপদ বাড়লে পিছনের সিঁড়ি দিয়ে রোগীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো। তিনি আরও জানান, হাসপাতালের যে কোনও বিল্ডিংয়ের যে কোনও তলায় আগুন লাগলে দমকলের পাইপ যাতে সহজেই পৌঁছে যেতে পারে সে জন্য প্রতিটি বিল্ডিং-এ ভাঙা-গড়ার কাজ হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘পনেরো দিনের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হবে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত এই হাসপাতাল। রোগীদের কোনও রকম সমস্যাই হবে না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Panic Pavlov Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE