দমকলের লড়াই। — নিজস্ব চিত্র
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল বাড়ির একতলায়। তিনতলার ঘর থেকে তারস্বরে চিৎকার করছিল বছর বারোর দুই কিশোরী। শেষে দমকল এবং স্থানীয় যুবকেরা বাড়ির বাইরের দিকে মই লাগিয়ে তিনতলায় উঠে ওই দুই কিশোরী-সহ জনা দশেক মহিলাকে উদ্ধার করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে কলুটোলা স্ট্রিট ও ফিয়ার্স লেনের মোড়ে একটি বাড়িতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনতলা ওই বাড়িটির একতলায় স্লেটের গুদাম রয়েছে। প্যাকিং করার জন্য সেখানে মজুত ছিল প্রচুর প্লাস্টিক এবং রেক্সিন। বাড়িটির দোতলাতেও গুদাম। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, আগুন ছড়িয়েছে একতলা থেকেই। দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। আগুন নেভাতে গিয়ে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন চার দমকলকর্মী। পরে দমকলকর্মীরা অক্সিজেন মাস্ক পরে ঘটনাস্থলে আসেন।
দমকলের এক আধিকারিক জানান, ওই বাড়িটিতে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা এবং সিঁড়িগুলি খুব সরু। ফলে, আগুন নেভাতে গিয়ে প্রথমে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। এলাকাটিও যথেষ্ট ঘিঞ্জি। উদ্ধারকারী স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ আখতারের অভিযোগ, ‘‘ঘিঞ্জি এলাকায় কী করে গুদাম তৈরির অনুমতি দেওয়া হল, তা স্পষ্ট নয়। প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও কোনও কাজ হয়নি।’’
স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সগুপ্তা পরভিন বলেন, ‘‘এই বাড়িতে ব্যবসার জন্য পুরসভা কোনও লাইসেন্স দিয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’’ বাড়িটির তিনতলায় থাকেন হাফিজ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘‘আগুন লাগার সময়ে আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার পরিবারের মহিলা সদস্যেরা ছিলেন। তাঁরা সবাই তিনতলায় আটকে পড়েন। দমকল ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় সবাই রক্ষা পেয়েছে।’’
অন্য দিকে, এ দিনই সন্ধ্যায় প্রগতি ময়দান থানা এলাকার দুর্গাপুর আট নম্বর বস্তিতে আগুন লাগে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। কেউ হতাহত হননি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy