অভিযোগ, পাসপোর্ট তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকার যত টাকা ফি নেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে এই সব জাল ওয়েবসাইটে।
লোক ঠকানোর নতুন পন্থা!
যাঁরা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করতে চান বা পাসপোর্ট নবীকরণ করাবেন, তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বেশ কিছু জাল ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, পাসপোর্ট তৈরি করতে কেন্দ্রীয় সরকার যত টাকা ফি নেয়, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে এই সব জাল ওয়েবসাইটে। আবেদনকারীর বিস্তারিত তথ্য হাতে পেয়ে ওই সব জাল ওয়েবসাইটের মালিকেরা আসল ওয়েবসাইটে আবেদন করছেন। তার পরে স্বাভাবিক নিয়মে আবেদনকারীর হাতে আসল পাসপোর্ট পৌঁছে যাচ্ছে।
পূর্ব ভারতের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতি কুমার জানিয়েছেন, সম্প্রতি এ রকম বেশ কয়েকটি অভিযোগ তাঁদের হাতে এসেছে। একই ভাবে দেশের অন্য শহরেও প্রতারিত হচ্ছেন আবেদনকারীরা। প্রতারণার অর্থ, তাঁদের অনেক বেশি টাকা দিতে হচ্ছে। বিভূতি কুমার বলেন, ‘‘দিল্লিতে মন্ত্রকের তরফে সাইবার অপরাধ শাখায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেখান থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিদেশ মন্ত্রকের যে ওয়েবসাইটে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়, সেটি www.passportindia.gov.in। বিভূতি কুমারের কথায়, ‘‘এই ওয়েবসাইট ছাড়া পাসপোর্ট সংক্রান্ত বাকি সব ওয়েবসাইটই জাল।’’ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘পাসপোর্টঅনলাইন’, ‘পাসপোর্টঅনলাইনইন্ডিয়া’ ধরনের নাম দিয়ে এই জাল ওয়েবসাইটগুলি তৈরি হচ্ছে। এখন পাসপোর্টের আবেদন শুধুমাত্র ইন্টারনেট মারফতই করা যায়। যাঁরা আবেদন করতে বসছেন, তাঁরা গুগলে গিয়ে পাসপোর্ট লিখতেই এই ধরনের সব ওয়েব-পেজ ভেসে উঠছে। সেখানে ক্লিক করে নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করা যাচ্ছে।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, সাধারণ ৩৬ পাতার পাসপোর্ট পেতে ১৫০০ টাকা দিতে হয়। ৬০ পাতার পাসপোর্টের জন্য ২০০০ টাকা। তৎকালে ওই ফি বেড়ে ৩৫০০ এবং ৪০০০ টাকা হয়ে যায়। অভিযোগ, জাল ওয়েবসাইট কোথাও ১৫০০-র জায়গায় ৩০০০, ২০০০-এর জায়গায় ৪০০০ ফি বাবদ নিচ্ছে। যিনি আবেদন করছেন, তাঁরা ওই টাকা ও বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছেন। জাল ওয়েবসাইটের মালিকেরা সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ওই আবেদনকারীর হয়ে বিদেশ মন্ত্রকের আসল ওয়েবসাইটে আবেদন করে আসল ফি জমা দিচ্ছেন। তার পরে স্বাভাবিক নিয়ম মেনে আবেদনকারী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে গিয়ে সেখানে নথিপত্র জমা দিয়ে পরে পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছেন। মাঝখান থেকে এই জাল ওয়েবসাইটগুলি টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। বিভূতি কুমার বলেন, ‘‘আমরা টুইট করে, পাসপোর্ট সংক্রান্ত সচেতনতা শিবিরে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy