খাতায় কলমে পুজোর ছুটি পড়তে বাকি ছিল প্রায় এক সপ্তাহ। কিন্তু তার আগেই নোটিস ঝুলিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কটিশ চার্চ কলেজের পঠনপাঠন। কবে কলেজ খুলবে সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে আজ, শনিবার পরিচালন সমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্তের উপর।
কলেজ সূত্রের খবর, শনিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে যে পুজোর ছুটির আগেই কলেজ খুলবে কি না। বুধবার ছাত্র বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কলেজে পঠনপাঠন বন্ধের নোটিস ঝুলিয়ে দেন বিশপ অশোক বিশ্বাস। কলেজ সূত্রের খবর, কলেজে নতুন ভবন তৈরি নিয়ে বুধবার ইঞ্জিনিয়ার এবং সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাম্মানিক রেক্টর জন আব্রাহাম। সেই সময়েই পড়ুয়াদের একাংশ রেক্টরকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে দরজায় লাথি মেরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষ এর পরেই সিদ্ধান্ত নেন কলেজ বন্ধের। কলেজেরই একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু ছাত্র বিক্ষোভ নয়, বস্তুত কলেজ ঘিরে শাসক দলের দুই মন্ত্রীর কাজিয়াই এই রোগের মূল শিকড়। পড়ুয়াদের অবশ্য অভিযোগের নির্দিষ্ট তির জন আব্রাহামের দিকেই। রেক্টর পড়ুয়াদের সঙ্গে সেনেট বৈঠকে না এসে কেন ওই বৈঠকে এসেছিলেন সেই নিয়েই ক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। যাবতীয় বিবাদের জেরেই তাই বন্ধ রয়েছে কলেজ। পরিচালন সমিতির এক সদস্য জানান, বিশপ শুক্রবার কলকাতায় ফেরার পরেই শনিবার বৈঠকে বসবেন। ‘‘পরিচালন সমিতিই সিদ্ধান্ত নেবে’’—জানান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy