ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব। ফাইল চিত্র।
আদালতের অনুমতি নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেব-সহ আট জনকে পরপর দু’দিন জেরা করা হয়েছে। কিন্তু দেবাঞ্জন সহযোগিতা করছে না বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অভিযোগ।
ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টে পর্যন্ত দেবাঞ্জনকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। শুক্রবারেও তদন্তকারীরা প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে ধৃতদের জেরা করেন। কিন্তু মূল অভিযুক্তের দিক থেকে তদন্তে সহযোগিতা করার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে ন'টি মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। একটি মামলায় আলিপুর আদালতে চার্জশিট দিয়েছে তারা। ইডি-র অভিযোগ, বিভিন্ন মামলায় কলকাতা পুলিশ দেবাঞ্জন-সহ ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে রেখে দেওয়ায় তাদের তদন্তে ব্যাঘাত ঘটছে।
ইডি-র তদন্তকারীরা জানান, ভুয়ো টিকাদানের মামলায় ধৃত ইন্দ্রজিৎ সাউ নামে এক জনকে আগেই জেরা করে বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি দেবাঞ্জনের তল্লাশি চালানো হয় মাদুরদহের বাড়িতে। দেবাঞ্জনের বাবা, মা ও বোনের বয়ানও নথিবদ্ধ করা হয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কলকাতার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রভাবশালী বহু সরকারি অফিসারের সঙ্গে যে দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল, তার তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে এসেছে। ইডি জানিয়েছে, বিভিন্ন দফতর থেকে বরাত নিয়ে ঠিকাদারি করত দেবাঞ্জন। পাশাপাশি নিজেকে ভুয়ো আইএএস অফিসার হিসেবেও পরিচয় দিত সে। দীর্ঘ কয়েক বছর রাজ্য সরকারের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে মেলামেশা করে আইএএস অফিসারদের আদবকায়দা রপ্ত করেছিল ওই অভিযুক্ত। ইডি জানিয়েছে, দেবাঞ্জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy