এক জন উপাধ্যক্ষ। অন্য জন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক বা টিচার ইন-চার্জ। কে নেবেন সরশুনা কলেজের ভার, সেই প্রশ্ন ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পূর্বতন অধ্যক্ষ শুভঙ্কর ত্রিপাঠী অবসর নেন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি জানান, অবসরের আগে নিয়মমাফিক পরিচালন সমিতির বৈঠক বসিয়ে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে উত্তমকুমার ভক্তকে টিচার ইন-চার্জ করা হয়। আবার শুভঙ্করই হবু উপাধ্যক্ষ হিসাবে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র, সহকারী অধ্যাপক প্রশস্তি ভট্টাচার্যের নাম পাঠিয়েছিলেন। পরিচালন সমিতির সভাপতি, বজবজের বিধায়ক অশোক দেবও প্রশস্তির নামই পাঠান। তার ভিত্তিতে বিকাশ ভবনের তরফে নতুন উপাধ্যক্ষ হিসাবে প্রশস্তির নাম আসায় শিক্ষকমহলের একাংশে প্রশ্ন উঠেছে। তাঁদের অভিযোগ, পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখে প্রশস্তির নাম পাঠানো হয়।
আজ, সোমবার পরিচালন সমিতি নতুন উপাধ্যক্ষের নাম সুপারিশ নিয়ে আলোচনায় বসবে। স্থায়ী উপাধ্যক্ষ বা অধ্যক্ষ এলে কর্তব্যরত টিচার ইন-চার্জ উত্তমকুমার ভক্তের সরে যাওয়ার কথা। উত্তম অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। কে কলেজের দায়িত্বে, এই সংশয়ে হাজার চারেক পড়ুয়ার ওই কলেজে শিক্ষকদের বেতনের প্রক্রিয়া থেকে নানা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত থমকে। প্রশস্তি অবশ্য বলেন, “দায়িত্ব হস্তান্তর হয়ে সমস্যা মিটে যাবে।”
পূর্বতন অধ্যক্ষ বলছেন, “অভিজ্ঞতা তুলনায় কম হলেও প্রশস্তিই যোগ্যতম পদপ্রার্থী। তিনি দীর্ঘদিন কলেজের আইকিউএসি-র সমন্বয়ক।” বিকাশ ভবনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের মতে, “পরিচালন সমিতির সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সায়েই আমরা উপাধ্যক্ষ বেছেছি। অনেক পরে টিচার ইন-চার্জের বিষয়ে আর্জি এসেছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)