আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই দলের কোন্দল প্রকাশ্যে! তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হল বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্যের সংবর্ধনাসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এর মধ্যে অনেকেই রাজ্য নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের ছায়া দেখছেন।
সম্প্রতি দ্বিতীয় বার জেলা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অনুপম। রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য সভার আয়োজন করেন অনুগামীরা। অভিযোগ, আচমকা সেই সভায় হামলা চালান অনুপমের বিরোধী গোষ্ঠীর কর্মীরা। এর জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। সভায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি, অনুপমের অনুগামী এক নেতার মুখে চুনকালি মাখানোরও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, নিগৃহীত হন অনুপম নিজেও।
গোটা ঘটনা নিয়ে বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে না এলেও, দলের তরফে পদক্ষেপ করা হয়েছে। অনুপমের সভায় হামলা, তাঁকে নিগ্রহের ঘটনায় চার জনকে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করেছে দল। তাঁদের শো কজ়ের চিঠি পাঠানো হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে হবে। বিজেপি সূত্রের খবর, চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে উত্তর সন্তোষজনক না হলে তাঁদের পক্ষে দলে ফেরা মুশকিল হতে পারে।
চাওয়া হয়েছে লিখিত উত্তর। উত্তর না মেলা পর্যন্ত তাঁরা বরখাস্তই থাকবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে দল। আর উত্তর সন্তোষজনক না হলে বরখাস্তও করা হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব অনেক দিন ধরেই রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, বেহালার ঘটনার নেপথ্যে সেটাই কারণ। অনুপম আদি নেতা। রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। বর্তমানে রাজ্যে নেতৃত্বে যাঁরা বদল চাইছেন, তাঁরাই অপসারণ চাইছেন অনুপমের। সেই গোষ্ঠীর লোকেরাই অনুপমের সংবর্ধনাসভা ভেস্তে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।