—প্রতীকী চিত্র।
গত নভেম্বর থেকে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা স্বাস্থ্য বিমার টাকা হাতে পাচ্ছেন না। প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য এমন পরিস্থিতি বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
পুরসভা জানিয়েছে, পুজোর আগে পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পেতে পুরকর্মীরা হাতে লেখা আবেদনপত্র জমা দিতেন। পুজোর পর থেকে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম চালু হয়েছে। অভিযোগ, অনলাইনের সফটওয়্যার ঠিকঠাক কাজ না করায় প্রবল সমস্যা হচ্ছে। এ জন্য অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, মাস দেড়েক আগে তৎকালীন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার নোটিস দিয়ে জানান, পুরসভার গ্রুপ ‘সি‘ এবং গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীরা পুনরায় হাতে লিখে স্বাস্থ্য বিমার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কলকাতা পুরসভায় বর্তমানে স্থায়ী কর্মী আছেন প্রায় ১৮ হাজার। তাঁদের মধ্যে গ্রুপ ‘সি‘ এবং ‘ডি’ মিলিয়ে কর্মীর সংখ্যা ১৩ হাজার। মেয়রের প্রতিশ্রুতি মতো প্রতিটি বিভাগে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে পুর প্রশাসন। প্রাক্তন পুর কমিশনার বিনোদ কুমার নিজে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করায় তাঁকে নিয়ে মেয়র একাধিক বিভাগে
অনলাইন ব্যবস্থা চালুও করেছেন। কিন্তু কর্মীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের অভিযোগ, ‘‘অনলাইন ব্যবস্থা ১০০ শতাংশ সফল করতে যে উন্নত সফটওয়্যার দরকার ছিল, তা পুরসভার নেই। প্রযুক্তিতে গলদ থাকায় পুরসভার বিভিন্ন বিভাগে অনলাইন ব্যবস্থা যথাযথ কাজ করছে না।’’
এই অভিযোগ নস্যাৎ করে পুরসভার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, ‘‘গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’ তালিকাভুক্ত পুরকর্মীদের অনলাইনে স্বাস্থ্য বিমার আবেদন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। সফটওয়্যার আরও উন্নত করে গ্রুপ ‘সি’ এবং গ্রুপ ‘ডি’ কর্মীদের জন্য শীঘ্রই অনলাইনে স্বাস্থ্য বিমার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু হবে।’’
কলকাতা পুরসভার ‘এ’ থেকে ‘ডি’, এই চারটি গ্রুপের কর্মীরা বছরে এককালীন সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পান। ক্যানসার, ডায়ালিসিস-সহ কিছু জটিল রোগে তাঁরা সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকার সুবিধা পান। হাসপাতালে দৈনিক সাধারণ শয্যা পিছু পুরসভা সর্বোচ্চ দেয় দেড় হাজার টাকা। আইসিইউ, সিসিইউয়ের ক্ষেত্রে রোগীপিছু সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা দেওয়া হয়। শয্যা পিছু খরচ ওই এক লক্ষ টাকাতেই অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ পুরকর্মীর অভিযোগ, ‘‘স্বাস্থ্য বিমায় যে টাকা মেলে, তা খুবই সামান্য। তার উপরে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়ম চালু হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।’’
পুর সচিবালয় দফতর সূত্রের খবর, গত দুর্গাপুজোর পরে স্বাস্থ্য বিমার আবেদনপত্র অনলাইনে জমা দেওয়ার নিয়ম চালু হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেই ব্যবস্থায় খামতি আছে। এক পুর আধিকারিক বলেন, ‘‘অনলাইন ব্যবস্থা এখনও ১০০ শতাংশ সফল না হওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, অচলাবস্থা কাটিয়ে সাধারণ পুরকর্মী থেকে নাগরিক—
প্রত্যেকেই অনলাইন ব্যবস্থার সুবিধা পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy