গবেষণাগারে আচমকা বিস্ফোরণ। তাতে গুরুতর জখম হলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এনআইটি) দুর্গাপুরের এক প্রবীণ অধ্যাপক। আহত হয়েছেন কয়েক জন পড়ুয়াও। মঙ্গলবার দুপুরে এই দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে।
কলেজ সূত্রে খবর, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের নিয়ে একটি প্রোজেক্টের কাজ করছিলেন অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক। সেই সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয় গবেষণাগারে। জানা যাচ্ছে, থার্মিট ওয়েল্ডিং নিয়ে গবেষণার সময় ওই দুর্ঘটনা হয়। রাসায়নিক ছিটকে ঝলসে যান অধ্যাপক এবং এক পড়ুয়া। আহত হন আরও কয়েক জন। অধ্যাপক এবং এক ছাত্রকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ের একটি হাসপাতালে। অধ্যাপককে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা ভাবা হচ্ছে।
দেবব্রত হেমব্রম নামে এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘ল্যাবের বাইরেই গবেষণার কাজ চলছিল। তখনই ‘ব্লাস্ট’ (বিস্ফোরণ) হয়। আমাদের এক অধ্যাপক গুরুতর জখম হয়েছেন। আহত হন এক ছাত্র। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আরও দুই সহপাঠী অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।’’ অন্য দিকে, দুর্গাপুর এনআইটি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৃষাণ রায় বলেন, ‘‘এখনো চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়নি। অধ্যাপকের অবস্থা সংকটজনক। প্রয়োজন হলে তাঁকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে।’’ তাঁর দাবি, প্রতিষ্ঠান বা অধ্যাপকের কোনও গাফিলতিতে এই ঘটনা হয়নি। এটা নিছকই দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন:
জখম অধ্যাপক দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারের রিকোল পার্কের বাসিন্দা। বেশি জখম হয়েছেন যে পড়ুয়া তাঁর নাম আকাশ মাঝি। তাঁর বাড়ি আসানসোলে।