স্থায়ী আমানত থেকে উধাও হয়ে গেল অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাঙ্ককর্মীর ২০ লক্ষ টাকা। জমানো সব টাকা খুইয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সেই প্রৌঢ়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে গরফা থানার পুলিশ এবং লালবাজারের সাইবার অপরাধ বিভাগ।
অভিযোগকারী প্রৌঢ়ের নাম দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। গরফা থানা এলাকার কালিকাপুরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন তিনি। কালিকাপুরেরই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার স্থায়ী আমানত ছিল দেবাশিসের। প্রৌঢ়ের অভিযোগ, গত ৩ এপ্রিল ঘটনার সূত্রপাত। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত তাঁর মোবাইল নম্বরটি আচমকা বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা মেটাতে না পেরে পরের দিন তিনি স্থানীয় একটি দোকানে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানানো হয়, ওই মোবাইল নম্বরটি কোনও ভাবে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। নতুন একটি সিম কার্ড নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় দোকান থেকে। এর পরে নতুন সিম কার্ড চালু করতেই প্রৌঢ় জানতে পারেন, তাঁর স্থায়ী আমানত থেকে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হয়েছে ২০ লক্ষ টাকা। দেবাশিসের কথায়, ‘‘১৬ থেকে ১৭ দফায় টাকা তোলা হয়েছে। কখনও এক লক্ষ তোলা হয়েছে। কখনও বা তার একটু বেশি।’’
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে গরফা থানার দ্বারস্থ হন প্রৌঢ়। ডিভিশনের সাইবার বিভাগেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে
তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের সাইবার শাখা। প্রৌঢ়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)