ভিন্ন রুটে বাস চলা নিয়ে কড়া নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নির্দিষ্ট রুট ভেঙে ভিন্ন পথে বাস চললে প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশই দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও নির্দিষ্ট রুটে বাস চলছে না। ওই সব ক্ষেত্রে শুধু শো-কজ় বা জরিমানা করেই থেমে থাকলে চলবে না, প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করে দিতে হবে। এ ভাবে বেআইনি ভাবে বাস চলতে পারে না। পরে হয়তো দেখা যাবে, যে কোনও বাস যে কোনও রাস্তায় ১০-২০ জন করে যাত্রী নিয়ে চলতে থাকবে!
কলকাতা ও বাবুঘাট এলাকায় অনুমোদিত রুট ভেঙে অন্য পথে একাধিক বাস চলছে! এমন অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই লাইসেন্স বাতিলের কথা জানায় আদালত। অন্য দিকে, বাস পরিষেবা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলে আদালত। প্রধান বিচারপতি জানান, বাসে জিপিএস লাগানোর বিষয়ে পরিবহণ দফতর কোনও বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কি না আদালতকে তা জানাতে হবে। এর পরেই প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘অন্যান্য রাজ্যের বাসে পাখা লাগানো থাকে। আমার রাজ্যে গিয়ে দেখুন বাস পরিষেবা কী ভাবে দেওয়া হয়!’’ প্রধান বিচারপতি ‘আমার রাজ্য’ বলতে তাঁর নিজের রাজ্য তামিলনাড়ুকেই বুঝিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে আদালতের নির্দেশে পরিবহণ দফতরের সচিব ও কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক)-কে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। শুক্রবার ওই কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানায়, ৭৪ জনকে শো-কজ় করা হয়েছে। অনেককে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়। রিপোর্ট দেখে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, শুধু শো-কজ় কেন? ওই সব ঘটনায় আর কী পদক্ষেপ করা হয়েছে রিপোর্টে তার উল্লেখ নেই কেন? আদালত জানায়, এক বার জরিমানা করার পরে ওই সব বাসের উপর নজর রাখতে হবে কমিটিকে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। না হলে আদালতের নির্দেশের কোনও গুরুত্ব থাকবে না। প্রধান বিচারপতি জানান, যাত্রীদের অসুবিধার বিষয়টিও ওই কমিটিকে দেখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy