(বাঁ দিকে) সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র ফোন কল রেকর্ডের সঙ্গে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে বলে ইডির একটি অসমর্থিত সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভিন্ন প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। সেখানে সংবাদমাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করে, ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে কালীঘাটের কাকুর ফোন কল রেকর্ড এবং সংগৃহীত কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে। জবাবে অভিষেক বলেন, ‘‘সেটা ইডি এবং কোর্টের বিষয়। আমি এখানে কী বলব?’’ এর পরেই অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁর সঙ্গে (সুজয়কৃষ্ণের) কথা হয়েছিল, তাঁকে কি ইডি গ্রেফাতার করেছে?’’ কার সঙ্গে কথা হয়েছিল? অভিষেকের জবাব, ‘‘আমি কেন বলব? সেটা ইডি বলবে।’’
প্রসঙ্গত, সুজয়কৃষ্ণ একটা সময়ে অভিষেকের অফিসের কর্মচারী ছিলেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। অভিষেককে ‘সাহেব’ বলেও প্রকাশ্যে সম্বোধন করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে আনন্দবাজার অনলাইনের একান্ত সাক্ষাৎকারেও ওই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘যাঁর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের কথা হয়েছে, তাঁকে ইডি ধরছে না কেন? তিনি কি সন্ত্রাসবাদী (টেররিস্ট)?’’
সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের রিপোর্ট হাতে পেয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে একটি মুখবন্ধ খামে ওই রিপোর্ট তাদের দফতরে এসে পৌঁছেছে। তবে ওই রিপোর্টে কী বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। ইডির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো না হলেও অসমর্থিত সূত্রের খবর, ইডির কাছে থাকা সুজয়কৃষ্ণের ‘কল রেকর্ডিং’ এবং পরে হেফাজতে থাকা অবস্থায় সংগ্রহ করা তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নিয়ে ‘ইতিবাচক’ রিপোর্ট হাতে পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। যা সংগ্রহ করতে অনেক জলঘোলা করতে হয়েছিল তাদের। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজয়কৃষ্ণ যে জড়িত ছিলেন, তার ‘অকাট্য তথ্যপ্রমাণ’ হিসাবে এই কণ্ঠস্বরকে এত দিন ব্যবহার করতে পারছিল না তারা। কিন্তু এই বিষয়ে জটিলতা অনেকটাই কেটে গিয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। যদিও সমগ্র বিষয়টিকে সে ভাবে আমল দিতে চাননি অভিষেক।
বৃহস্পতিবারই ইডি দাবি করেছে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল বেশি বেশি আম খাচ্ছেন। কেন? ইডির দাবি, কেজরীর মধুমেহ (ডায়াবিটিস) রয়েছে। তিনি আম খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যের কারণে জামিনের আবেদন করার ‘কৌশল’ নিয়েছেন। এই প্রশ্নে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের সেনাপতির কথায়, ‘‘কেজরীওয়াল নয় জেলে আম খাচ্ছেন! বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা তো বাড়িতে বসে আম খাচ্ছেন।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে লিকার স্ক্যামে (আবগারি দুর্নীতি) তথাকথিত ১০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, সেই সংস্থার ৫৫ কোটি টাকা বিজেপির তহবিলে গিয়েছে। কেজরীওয়াল জেলে থাকলে জেপি নড্ডা জেলে যাবেন না কেন? আমার তো মনে হয়, বিজেপির সভাপতিকে এখনই গ্রেফতার করা উচিত!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy