Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪

খদ্দের সেজে বাইক, মোবাইল চুরির চক্র ধরল ভবানীপুর থানা

ছ’লক্ষ টাকা দামের একটি মোটর বাইক আর ৩০ হাজার টাকার বেশি দামের মোবাইল ফোন। এত বেশি দাম হওয়ার কারণেই চুরির পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও ওই দু’টি চোরাই জিনিসের খদ্দের পেতে সমস্যা হচ্ছিল দুষ্কৃতীদের। বিভিন্ন জায়গায় খদ্দেরের খোঁজ করছিল তারা। এটা করতে গিয়েই জানাজানি হয়ে গেল। আর সেই জন্যই শেষ পর্যন্ত তারা ধরা পড়ে গেল পুলিশের জালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৬ ২০:০২
Share: Save:

ছ’লক্ষ টাকা দামের একটি মোটর বাইক আর ৩০ হাজার টাকার বেশি দামের মোবাইল ফোন। এত বেশি দাম হওয়ার কারণেই চুরির পর দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও ওই দু’টি চোরাই জিনিসের খদ্দের পেতে সমস্যা হচ্ছিল দুষ্কৃতীদের। বিভিন্ন জায়গায় খদ্দেরের খোঁজ করছিল তারা। এটা করতে গিয়েই জানাজানি হয়ে গেল। আর সেই জন্যই শেষ পর্যন্ত তারা ধরা পড়ে গেল পুলিশের জালে।

শরৎ বসু রো়ড থেকে ওই মোটর সাইকেল, আই ফোন এবং এক যুবকের সোনার চেন ও টাকা চুরির তদন্তে নেমে পুলিশ হদিস পেল এমন একটি চক্রের, যার সদস্যেরা কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটর বাইক চুরি করে উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত টপকে চোরাপথে পাঠিয়ে দিত ও পারে।

চক্রটির হদিস পেতে ভবানীপুর থানার তদন্তকারীরা নিজেরাই চোরাই মোটর সাইকেলের খদ্দেরের ভেক ধরেন। তার পর বুধবার রাতে রাজারহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ আমিন ওরফে ভিকি, মহম্মদ সইফ ওরফে টুলু ও মহম্মদ ওয়াসিম ওরফে রাজেশকে। তিন জনের বাড়ি নারকেলডাঙা এলাকায়। শহর থেকে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল তারা চুরি করেছে। আদালতের নির্দেশে তিন জনই এখন পুলিশি হেফাজতে। তবে মূল পাণ্ডা এখনও পলাতক বলে পুলিশের দাবি।

আরও পড়ুন- ওষুধ থেকে স্যালাইন, গড়াগড়ি মেঝেতেই

পুলিশ সূত্রের খবর, শরৎ বসু রোড থেকে ইতালির একটি সংস্থার তৈরি ওই দামী মোটর সাইকেলটি চুরি হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে। পর দিন ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্র, আদতে বর্ধমানের বাসিন্দা সন্দীপ ভাটিয়া। তিনি যাদবপুরে ভাড়া থাকেন।

পুলিশকে সন্দীপ জানান, শরৎ বসু রোডের একটি ধাবায় বন্ধুদের সঙ্গে রাতের খাওয়া সেরে ওই মোটরবাইকে করে তিনি যাদবপুরের। হঠাৎই তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং জ্ঞান হারানোর আগে মোটর সাইকেলটি থামিয়ে তিনি রাস্তায় শুয়ে পড়েন। সন্দীপের বক্তব্য, জ্ঞান ফিরলে দেখেন, মোটর সাইকেল, আই ফোন, সোনার চেন, টাকার ব্যাগ কিছুই নেই।

ওই অভিযোগের সূত্র ধরেই পুলিশ চোরাই চক্রটির হদিস পায়। সন্দীপ যে জায়গায় অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার পাশেই একটি বহুজাতিক সংস্থার অফিস। তার বাইরে থাকা সিসিটিভি-র ফুটেজ তদন্তে সাহায্য করেছে বলে পুলিশের দাবি। ওই ফুটেজে দুষ্কৃতীদের চুরি ধরা পড়ে।

পুলিশ জেনেছে, মোটর সাইকেলটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী স্বরূপ নগর এলাকার হাকিমপুরে পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার মোটর বাইকটি পাচার করার সময়ে বিএসএফ আটক করে। ভবানীপুর থানার পুলিশের একটি দল ওই মোটরবাইকটি আনতে স্বরূপনগর গিয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE