বেহালার জন্য আরও বিকল্প পথ চালু শীঘ্রই
কলকাতার রাস্তার হাল নিয়ে দিন কয়েক আগেই নবান্নে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। সেই কাজ চলার মধ্যেই মাঝেরহাট সেতু-বিপর্যয়। রাস্তার কাজ সামাল দিতে প্রায় নাস্তানাবুদ পুর প্রশাসন। এ বার হাত পড়ছে পুরসভার
রাস্তা দফতরের প্রশাসনিক পরিকাঠামোয়। ওই দফতরের ডিজি-র হাতে বস্তি দফতরও ছিল বহু বছর ধরে। সেতু-বিপর্যয়ের পরে পুর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, বস্তি দফতরের দায়িত্ব অন্য এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারকে দেওয়া হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বর্তমানে রাস্তা এবং বস্তি— দুই দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন সৌমিত্র ভট্টাচার্য। এ বার বস্তি দফতরের জন্য বিল্ডিং বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ারের (যিনি ডিজি পদমর্যাদার, কিন্তু কোনও পদে নেই) নাম ভাবা হচ্ছে। দু’-এক দিনের মধ্যেই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। প্রসঙ্গত, পুরসভায় যোগ্য ব্যক্তি থাকলেও একাধিক দফতরের দায়িত্ব এক জনকে দেওয়ার প্রবণতা আছে। তার কারণ কী, সে নিয়ে জল্পনাও চলে। এ বার অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর ‘ধমকের’ পরে রাস্তা নিয়েই বেশি চিন্তিত পুরকর্তারা। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে, মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পরে বেহালায় ঢোকা এবং বেরোনোর পথ কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকায় নতুন চারটি রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রবিবার ছুটির দিনেও পুরসভা এবং
ট্র্যাফিক পুলিশের দল ওই রাস্তাগুলি পরিদর্শন করে। দলে ছিলেন পুর কমিশনার-সহ বিশেষ পুর কমিশনার, পুরসভার সাতটি দফতরের ডিজি এবং ট্র্যাফিক পুলিশের অফিসারেরা। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, আজ, সোমবার পুরনো গরাগাছা রোড দিয়ে বাস ও লরি চলাচল শুরু হবে। ওই রাস্তা সারানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ ছাড়া, বাকি তিনটি পথে পুরোদমে সংস্কারের কাজ চলছে। এর জন্য প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন ‘হট মিক্স’ (রাস্তা তৈরির মশলা) কাজে লাগছে। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রাস্তা দফতরের এক আধিকারিক।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ওই সব রাস্তায় অনেক খানা-খন্দ ছিল, আলোও ছিল না।
যত্রতত্র পড়ে থাকত জঞ্জাল। এখন ডায়মন্ড হারবার রোডের সঙ্গে মূল কলকাতা বা হাওড়ার যোগাযোগ রাখার জন্য রাস্তাগুলি সারানো হচ্ছে। অধিকাংশই বন্দরের রাস্তা। মাঝেরহাট সেতু দিয়ে যে সব বাস এবং লরি চলাচল করত, সেগুলি যাতে বিকল্প ওই সব রাস্তা দিয়ে যেতে পারে, তা দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। পাশাপাশি ভারী গাড়ি যাতে না ঢোকে, তা-ও দেখবে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy