তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘিরে গুলি চলল নিউ টাউনে। এবং ফের জড়াল কাকলি ঘোষদস্তিদার ও সব্যসাচী দত্তের।
পুলিশ জানায়, যাঁর বাড়ি লক্ষ করে গুলি চলেছে, সেই সুশান্ত মণ্ডল নিজেও সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর বাড়ি নিউটাউনের থাকদাঁড়ি এলাকার প্রামাণিক পাড়ায়। আবার ঘটনায় জড়িত বলে যাদের নাম উঠে আসছে, তাদের মধ্যে এলাকার আর সিন্ডিকেট চাঁই সমীর (ভজাই) সর্দারের মেজ ছেলে অভিজিতেরও নাম রয়েছে। অভিজিৎ-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বুধবার দুপুরেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। তার নাম নিমাই নস্কর বলে পুলিশ জানিয়েছে। সুশান্তর সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের গোষ্ঠীর যোগাযোগের কথা জানা গিয়েছে। অপর পক্ষ স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
ঘটনা সম্পর্কে কাকলিদেবী এ দিন বলেন, ‘‘কার বাড়িতে গুলি করা হয়েছে তা নিয়ে আমায় কেউ কিছু জানায়নি। খোঁজ নেব।’’ আর সব্যসাচীবাবুর ছোট্ট প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি বিষয়টি খোঁজ নেব।’’
সুশান্তবাবুর দাবি, মঙ্গলবার রাতে ঘটনার সময়ে চার বছরের ছেলেকে নিয়ে দোতলার ঘরে বসে টিভিতে খেলা দেখছিলেন তিনি। সেই সময়ে বাড়ির বাইরে গুলির শব্দ। তবে গুলি যে তাঁর বাড়ি লক্ষ করেই ছোড়া হয়েছে, তা প্রথমে বুঝতে পারেননি তিনি। সুশান্তবাবুর কথায়, ‘‘গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘরের আলো, টিভি বন্ধ করে দিই। একটা জানলা খোলা ছিল। ভয়ে ছেলেকে নিয়ে খাটের তলায় ঢুকে পড়ি। তার পরেও আরও বেশ অনেকগুলো গুলির আওয়াজ পাই। মনে হচ্ছিল যেন কানের কাছেই গুলি চলছে! সকালে দেখি একটা গুলির শেল খাটের মশারি টাঙানোর জায়গায় আটকে। একটা পড়ে রয়েছে ঘরের মধ্যে।’’
সুশান্ত বলেন, ‘‘ভজাইয়ের লোকজন আমাকে বেশ কয়েক দিন ধরেই শাসাচ্ছিল। ভয় দেখাচ্ছিল, যাতে আমি এই এলাকার বাইরে গিয়ে সিন্ডিকেটের কাজ না করি। মঙ্গলবার ঘটনার সময়ে বাড়ির বাইরে লোকজন অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করছিল। তাদের মধ্যে ভজাইয়ের মেজো ছেলে অভিজিৎ ছিল।’’ ঘটনার কথা অস্বীকার করে ভজাইবাবু বলেন, ‘‘যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করছেন, তাঁরা এ বার ভোটে সিপিএমকে সাহায্য করেছেন। এখন নিজেদের মুখ পুড়ে যাওয়ায় আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ ধৃত নিমাই অবশ্য ভজাইয়ের ঘনিষ্ঠ বলেই এলাকায় পরিচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy