অগোচর: সংযোগ আসেনি সিসিটিভি-র। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী
‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচারেও শহরে দুর্ঘটনা কমছে না। বেলাগাম গাড়ির জন্যে বিপজ্জনক রাস্তার তালিকায় নয়া সংযোজন কুমোরটুলির দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিট।
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ির চাপ কমাতে কলকাতা পুলিশের ভাবনায় ছিল বিকল্প রাস্তা। সেই মতো হাওড়াগামী গাড়িগুলিকে রবীন্দ্র সরণি দিয়ে দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিট ধরে স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড ধরার কথা জানানো হয়েছিল। তাই বড় গাড়ির জন্যে কিছু দিন আগে খুলেও দেওয়া হয়েছে দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিট। অভিযোগ, এর পরেই দুর্ঘটনা বেড়েছে ওই এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ৩ মে সন্ধ্যায় ওই রাস্তায় বেলাগাম মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন সুরজিৎ রায় (৪২) নামে স্থানীয় এক যুবক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মাথায় অস্ত্রোপচার হলেও এখনও বিপন্মুক্ত নন তিনি। সম্প্রতি একই জায়গায় মোটরবাইকের ধাক্কায় আহত হন এক তরুণী। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা শ্যামপুকুর থানা ও জোড়াবাগান ট্র্যাফিক গার্ডে অভিযোগ জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, রবীন্দ্র সরণি ও দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিটের সংযোগস্থলে সিসিটিভি বসানো হলেও এখনও তার সংযোগ আসেনি। ফলে অধরা ঘাতক বাইকগুলি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্যস্ত রবীন্দ্র সরণিতে স্পিড ব্রেকার থাকলেও দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিটে এখনও স্পিড ব্রেকার বসেনি। এমনকী রবীন্দ্র সরণি ও দুর্গাচরণ ব্যানার্জি স্ট্রিটের মোড়েও বেশির ভাগ সময়েই কোনও ট্র্যাফিক পুলিশ থাকে না।
বাসিন্দা দেবাশিস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই রাস্তা বাস-লরির জন্য একমুখী হলেও বাইকের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নেই। আরও একটি সমস্যা, গঙ্গার ধার থেকে লোকজন তীব্র বেগে বাইক চালিয়ে চলে যান।’’
স্থানীয় কাউন্সিলর পার্থ মিত্র জানান, ‘‘কুমোরটুলির অধীন ওই রাস্তা। ওখানে স্পিড ব্রেকার বসালে মূর্তি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে ট্র্যাফিক পুলিশ যাতে ওখানে থাকে সেই চেষ্টা করছি।’’ সিসিটিভি-র সংযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্থানীয় থানায় কথা বলে অবিলম্বে সংযোগ আনারও ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy