আইন অনুযায়ী পাঠ্যক্রম ঠিক করার কথা বোর্ড অব স্টাডিজের। তা সত্ত্বেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি কোর্সের পাঠ্যক্রম তৈরির জন্য বেআইনি ভাবে কমিটি গড়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল শিক্ষক সংগঠন আবুটা।
আইন ব্যাখ্যা করে আবুটা-র যাদবপুর শাখার আহ্বায়ক গৌতম মাইতি জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৮১-র আইন অনুযায়ী সব বিষয়ের পাঠ্যক্রম ঠিক করার দায়িত্ব ন্যস্ত আছে বোর্ড অব স্টাডিজের হাতে। তারা পাঠ্যক্রম তৈরি করার পরে সেটি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের কাছে যায়। কিন্তু এ বার বেনজির ভাবে স্নাতক স্তরে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি কোর্সের প্রথম বর্ষের পাঠ্যক্রম তৈরির জন্য পৃথক কমিটি গঠন করেছেন কর্তৃপক্ষ। এটা পুরোপুরি আইনবিরুদ্ধে।
গোটা দেশেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাঠ্যক্রমে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই-র ন্যাশনাল বোর্ড অব এডুকেশন বা এনবিএ-র অনুমোদন বাধ্যতামূলক করেছে। যাদবপুরের সেই অনুমোদন নেই বলে সম্প্রতি যাদবপুর থেকে পাশ করা বর্তমানে কুয়েতে চাকরিরত ইঞ্জিনিয়ারেরা অসুবিধার মুখে পড়েছেন। অবিলম্বে এটা মানতেই হত বলে জানান এক কর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তথা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এআইসিটিই-র নিয়ম মেনে ‘কমন কারিকুলাম’ তৈরি করা হয়েছে। তাই গড়া হয়েছে পৃথক কমিটি। সেটাও শুধু স্নাতকের প্রথম বর্ষের জন্য। তার পর থেকে প্রতিটি বিভাগ নিজেদের মতো করেই ‘কারিকুলাম’ ঠিক করবে।’’
কিন্তু গৌতমবাবুর অভিযোগ, ১৯৮১ সালে বিধানসভায় পাশ করা আইনে বোর্ড অব স্টাডিজকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় আইন পরিবর্তন না-করেই কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থার নির্দেশে বোর্ড অব স্টাডিজকে ঠুঁটো করে দেওয়ার অর্থ, রাজ্যের আইন ভাঙা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার লঙ্ঘন করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy