পশুপ্রেমী সূর্যপ্রতাপ সিংহ(মাঝখানে)।—নিজস্ব চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতায় ১৬টি কুকুরছানা খুনের ঘটনাটি দেখে শিউরে উঠেছিলেন পশুপ্রেমী সূর্যপ্রতাপ সিংহ। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সূর্যপ্রতাপের সঙ্গে কলকাতার কোনও যোগ নেই। বেঙ্গালুরুতে তাঁর সেচ্ছাসেবী সংগঠন পথ কুকুরদের সেবা করে। নীলরতন সরকার হাসপাতালের ঘটনাটি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় থেকে জানতে পারেন। তার পর থেকেই খেয়াল রাখছিলেন, সারমেয়দের মৃত্যুর জন্য কী ভাবে প্রতিবাদ করছে কলকাতা? কী ভাবে ফেসবুকের বাইরেও আন্দোলন ঢেউ উঠছে রাজপথে।
আর ঘরে বসে থাকতে পারলেন না সূর্যপ্রতাপ। বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে সোজা বুধবার মাঝরাতে নামলেন কলকাতা বিমানবন্দরে। কিছু ক্ষণ বিমানবন্দরে, বাকি রাত রাস্তায় কাটালেন। ভোরের আলো ফুটতেই খবরের কাগজ পড়ে এবং রাস্তার দোকানে টিভির পর্দায় সংবাদ দেখে পৌঁছে গেলেন শিয়ালদহের আদালত চত্বরে। কলকাতার পাশে দাঁড়াতে। কোথায় যেন এক হয়ে গেল বেঙ্গালুরু এবং কলকাতা। প্রতিবাদের ধরনও এক। কেন খুন করা হল কুকুরছানাদের? দোষীদের শাস্তি দিতেই হবে।
পুলিশের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে গলা ফাটালেন। সচেতন করলেন অন্যদেরও। দু’শহরের পশুপ্রেমীরা এক হয়ে গেলেন সূর্যপ্রতাপকে কাছে পেয়ে। অঙ্গীকার করলেন, দেশের যেখানে এমন ঘটনা ঘটবে, পথে নেমে আন্দোলন হবে।
আরও পড়ুন: টনক নড়েছে, হাসপাতালে ঢুকে কুকুরদের নির্বীজকরণ করবে পুরসভা
আদালতের সামনে পশুপ্রেমীদের ভিড়।—নিজস্ব চিত্র।
তখনও জামিন হয়নি মৌটুসি মণ্ডল এবং সোমা বর্মণের। আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে সূর্যপ্রতাপ বললেন, “এমন প্রতিবাদ আমি দেখিনি। দীর্ঘ দশ বছর ধরে আমার ছেলেমেয়েদের (পথ কুকুরদের এ ভাবেই সম্বোধন করেন) সেবা করছি। অনেক সময় দেখেছি, টাকা দিয়েই থানা থেকে জামিন হয়ে যায়। কিন্তু এখানে ছবিটা যেন অন্য। এত ভিড়, এ ভাবে প্রতিবাদ ভাবাই যাচ্ছে না। কলকাতাই গোটা দেশকে শেখাবে কী ভাবে প্রতিবাদ করতে হয়। পশুদের জন্যও যে কলকাতার প্রাণ কাঁদে, তা এখানে না এলে দেখতে পেতাম না।”
আরও পড়ুন: কুকুরছানা খুনে জামিন পেলেও হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না দুই ছাত্রী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy