প্রতীকী ছবি।
জাল নথি দিয়ে খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় পাসপোর্ট। আবার তার প্রমাণ পেলেন কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন অফিসার এবং পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতা থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে ঢাকা যাওয়ার পথে অভিবাসন অফিসারদের হাতে ধরা পড়েছে গোটা পরিবার।
স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের তিন বছরের শিশুপুত্র। স্বামী-স্ত্রী বাংলাদেশি। কিন্তু, জন্মসূত্রে শিশুটি ভারতীয়। তার বাবা-মাকে গ্রেফতার করে বুধবারেই আদালতে তোলা হয়েছিল। তাঁদের দু’জনকেই পাঠানো হয়েছে জেল হেফাজতে। শিশুপুত্রটিকে পাঠানো হয়েছে মায়ের সঙ্গেই।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিক সইফুল ইসলাম (৩৬) ১৯৯৭ সালে বেআইনি ভাবে হরিদাসপুর সীমান্ত টপকে ভারতে চলে আসেন। মুম্বইতে গিয়ে মোবাইল সারানোর কাজ শুরু করেন। এর
পর থেকে তিনি ভারতেই রয়ে গিয়েছেন। এরই মাঝে জাল নথি দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্টও বানিয়েছেন। সেই পাসপোর্ট দেখিয়ে বাংলাদেশের ভিসা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে যাতায়াতও করতেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে গিয়ে সেখানকার মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিন (২৮)-কে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে ফরিদা বাংলাদেশের পাসপোর্ট ও ভারতীয় ভিসা নিয়ে সইফুলের সঙ্গে এ দেশে চলে আসেন।
জেরার মুখে সইফুল জানিয়েছেন, মুম্বই পৌঁছনোর পরে ফরিদার বাংলাদেশি পাসপোর্টটি নষ্ট করে ফেলে জাল নথি দিয়ে ফরিদার জন্যও ভারতীয় পাসপোর্ট বানানো হয়। এর পরে জন্ম হয় সুজানের। জন্মসূত্রে সুজান ভারতীয়। তাঁর পাসপোর্টটি
আসল। জানা গিয়েছে, জাল নথি দিয়ে বানানো ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন সইফুল ও ফরিদা। এত দিন ধরা পড়েননি। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা যাওয়ার সময়ে অভিবাসন অফিসারদের সন্দেহ হলে জেরা শুরু করেন তাঁরা। ধরা পড়ে যান
স্বামী-স্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy