বাগুইআটির একটি আবাসনে বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনায় বিহার থেকে সোমবার ওই বাড়ির পরিচারককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মনোজ যাদব। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সামগ্রী। মঙ্গলবার বারাসত আদালতে তোলা ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়।
পাশাপাশি, এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ সোমবার রাতে বেড়াবেড়ির ঘোষপাড়া-নারায়ণপুরে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া সামগ্রী বিক্রি করার এক রিসিভারকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম বিধানচন্দ্র ঘোষ। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮২টি মোবাইল ও একটি এলইডি টিভি।
পুলিশ জানায়, ৭ অগস্ট বাগুইআটির স্পেসটাউন আবাসনে রাজীত মোহতার ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ির পরিচারক মনোজ যাদব পলাতক ছিল। ৭ লাখ টাকার সোনার গয়না, ৮টা দামী বিদেশি ঘড়ি, নগদ ৫ লক্ষ টাকা চুরি যায় ওই ঘটনায়।
তদন্তে নেমে বাগুইআটি পুলিশ জানতে পারে, মাস ছয়েক আগে স্পেসটাউনের ওই বাসিন্দা বিহারের বাঁকা জেলার কাটোরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মনোজ যাদবকে নিজের বাড়িতে পরিচারক হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। চুরির ঘটনার পরে মনোজ পালিয়ে যায়। সে কারণে পুলিশ তাঁকে খুজছিল।
সোমবার বিহারে মনোজের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৭টা ঘড়ি, ৫০ গ্রাম গলানো সোনা, ১টা সোনার বিস্কুট। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে চুরির ৫ লক্ষ টাকা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট করেছে সে। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিজ করেছে পুলিশ।
সোমবার মনোজকে বিহার থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। এ দিন ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ হয়।
অন্য দিকে দ্বিতীয় ঘটনায় পুলিশ জানায়, সম্প্রতি কয়েক জন মোবাইল চোরকে জেরা করে বিধানচন্দ্র ঘোষের নাম উঠে আসে। কিছু দিন আগেই একটি ক্লাব থেকে এলইডি টিভি চুরির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও বিধানের নাম উঠে আসে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকান খুলে রেখে আদতে রিসিভারের কাজ করছিল বিধান। দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে বিভিন্ন চুরি যাওয়ার সামগ্রী সে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিত। সোমবার রাতে বেড়াবেড়ির ঘোষপাড়া নারায়ণপুরে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy