Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Calcutta News

যাদবপুরের সেক্স সাইট-কাণ্ডে গ্রেফতার যুবক, নজরে এক মহিলাও

কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার আধিকারিকদের অনুমান, গোটা ঘটনার মূল চক্রী গৌরব নয়, বরং ওই আবাসনের কোনও এক প্রতিবেশী মহিলা।

ফ্ল্যাটের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগালেও দেখা যেত ‘কাস্টমার’-দের। —ফাইল চিত্র।

ফ্ল্যাটের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগালেও দেখা যেত ‘কাস্টমার’-দের। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ২৩:২৪
Share: Save:

এসকর্ট সাইটে ভুয়ো প্রোফাইল-কাণ্ডে অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।

শুক্রবার কলকাতার পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ধৃতের নাম গৌরম বর্মা। এ দিন বিকেলে উত্তর কলকাতার হরিরাম গোয়েন্‌কা স্ট্রিট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

‘গোপনে বন্ধুত্ব পাতানো’র জন্য অনলাইনে দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরের এক মহিলার ছবি দিয়ে একটি ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়। বন্ধুত্ব পাতানোর হাতছানি থাকলেও ওই ওয়েবসাইটগুলোর আড়ালে আদতে ‘এসকর্ট সার্ভিস’ চালানো হত বলে অভিযোগ। এর পর থেকেই ওই মহিলার আবাসনের ফ্ল্যাটে হাজির হতে থাকে লোকজনেরা। গত মাস দুয়েক ধরেই এ রকম ঘটছিল। অভিযোগ, ওই গৃহবধূর অজান্তেই অনলাইনে বন্ধুত্ব পাতানোর ওয়েবসাইটে তাঁর নাম নথিভূক্ত করা হয়েছে। একই ভাবে ওই মহিলার দেওরের স্ত্রীর নাম-ছবিও ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ‘কাস্টমার’-দের জন্য তাতে ওই ফ্ল্যাটের নাম-ঠিকানা সম্পর্কিত সব তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, সে সমস্ত তথ্যই নিজেদের মোবাইল চ্যাটে পেয়ে যাচ্ছেন ‘কাস্টমার’-রা।

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)

ওই গৃহবধূর নাম-ছবি ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, “আমি... । কিছু দিন আগে আমার বিয়ে হয়েছে। স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে আমি খুশি নই। স্বামীর চাকরিও নেই। আমি একা, টাকারও দরকার। আমার বয়স মাত্র ২০ বছর। বাড়িতে এলে ২ ঘণ্টার জন্য মাত্র ৫০০ টাকা লাগবে। গ্রুপ সার্ভিসও পাওয়া যায়।” এর পর থেকেই নিজের ফ্ল্যাটের দরজায় দিনেদুপুরে ‘কাস্টমার’-দের ভিড় শুরু হয়। তাতে রীতিমতো আতঙ্কিত ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবার। ফ্ল্যাটের সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েও তা রোখা যায়নি। এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের অভিযোগ দায়ের করে ওই মহিলার পরিবার। এর পর সেই কেস হাতে নেয় সাইবার ক্রাইম শাখা।

আরও পড়ুন: তৃতীয় কেউ ছিল কি? মিলছে না উত্তর

আরও পড়ুন: জেল থেকে গব্বরের ফোন প্রোমোটারকে, ‘৫ লাখ নেহি দিয়া তো, গোলি সে টপকা দেঙ্গে’

কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার আধিকারিকদের অনুমান, গোটা ঘটনার মূল চক্রী গৌরব নয়, বরং ওই আবাসনের কোনও এক প্রতিবেশী মহিলা। সেই মহিলাই ‘এসকর্ট সার্ভিসে’র ওয়েবসাইটে ওই গৃহবধূ ও তাঁর দেওরের স্ত্রীর নাম-ছবি দিয়ে ভুয়ো প্রোফাইল খুলতে গৌরবের সাহায্য নিয়েছেন বলে সন্দেহ পুলিশের। তবে ঠিক কী কারণে গৌরব তাতে রাজি হল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পড়তে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE