কোনও নির্মাণ করতে গেলে স্থানীয় সিন্ডিকেট সদস্যদের থেকেই ইমারতি দ্রব্য নিতে হবে তাঁদের ধার্য করা দামে। না হলে কাজ বন্ধ। রাজারহাট-নিউ টাউনে এমন ‘দাদাগিরি’র অভিযোগের অন্ত নেই।
এ বার বাসমালিকেরাও পড়লেন সেই ‘দাদাগিরি’র কবলে। সম্প্রতি দু’টি বেসরকারি রুট সল্টলেক থেকে নিউ টাউনে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ, স্থানীয় এক দল যুবক মালিকদের কাছে বিভিন্ন দাবি করে। যেমন দিনে বাসপিছু টাকা দিতে হবে। বাসে স্থানীয় যুবকদের নিয়োগ করতে হবে। অভিযোগ, তা স্রেফ দাবিতে সীমাবদ্ধ নেই, রীতিমতো হুমকি, ভয় দেখানো হয়েছে বলে ।
এর জেরে সল্টলেক থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত চলাচলকারী ২১৫এ এবং ২১৫এ/১ রুটের বাস দু’টি শনিবার সকাল থেকে বন্ধ থাকে। দুপুরে দু’টি রুটের মালিক নিউ টাউন থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। সল্টলেকের মহিষবাথান থেকে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত ২১৫ রুটের দু’টি বাস দীর্ঘ দিন ধরে চলে। প্রচুর যাত্রী তাতে যাতায়াত করেন। এত দিন ২১৫এ-র রুট ছিল মহিষবাথান, উল্টোডাঙা, শোভাবাজার, বড়বাজার হয়ে হাওড়া। ২১৫এ/১ যেত চিংড়িঘাটা, বেলেঘাটা, শিয়ালদহ, বিবাদী বাগ হয়ে হাওড়া। দুই রুটে প্রায় ৬৫টি বাস চলে।
বাসমালিক সংগঠনের নেতা মনোজ বাগুই ২১৫ বাস রুটের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, সম্প্রতি ২১৫ রুটের সব বাস নিউ টাউনে নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার স্থানীয় কিছু যুবক নিজেদের লোক নেওয়ার জন্য বাস মালিকদের চাপ দেন। বাস প্রতি দিনে ২০ টাকা করে দাবিও করেন। চালক, কনডাক্টরদের ভয় দেখান। এর পরেই শনিবার সকাল থেকে সব চালকেরা বাস নিয়ে মহিষবাথানে চলে যান। বন্ধ করে দেন বাস চলাচল। মনোজবাবু বলেন, “কর্মীরা নিরাপত্তার কারণে নিউ টাউন যেতে নারাজ। থানায় জানিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন সমস্যা মেটানোর আশ্বাসও দিয়েছে।”
শনিবার সল্টলেক থেকে ২১৫ রুটের বাস না চলায় খুব সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সল্টলেক থেকে হাওড়া যাওয়ার অন্য বাসগুলিতে ভিড় বাড়ে। সল্টলেক থেকে হাওড়াগামী মিনিবাসগুলিতে ওঠার জন্য রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি লেগে যায়। তবে এই দুই রুট ছাড়াও বিভিন্ন রুটের বাসেরই সমস্যা হচ্ছে সল্টলেক ও নিউ টাউনে। বাসকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, রাতে বাস রাখার সমস্যা মাঝেমধ্যেই হচ্ছে। রাত বাড়লেই কিছু যুবকের নানা দাবি মেটাতে হয়। দাবি না মেটালে শুরু হয় জুলুম। এ ছাড়াও স্থানীয়দের খালাসি, কনডাক্টর বা চালক হিসেবে নিয়োগ করার জন্য চাপ আসে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পাবর্ণে চাঁদার জুলুম তো রয়েছেই।
সল্টলেক কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাতে নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা না হয়, তাও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy