Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

ছদ্ম-শীতেই আমোদ খুঁজে নিচ্ছে কলকাতা

মরসুমে এই প্রথম তাপমাত্রা নেমে গেল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। রোদের দেখা নেই। বইছে উত্তুরে হাওয়া। সকাল থেকে ঠান্ডায় জবুথবু মহানগরী। বাক্স থেকে বেরিয়ে পড়েছে ফুলহাতা সোয়েটার, জ্যাকেট, মাঙ্কিক্যাপ, মাফলার। কুয়াশা-ঢাকা কলকাতার তুলনা শুরু হয়েছে লন্ডনের সঙ্গে। তা হলে কি অগ্রহায়ণের শেষ লগ্নেই কলকাতায় এসে গেল শীত?

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৩৯
Share: Save:

মরসুমে এই প্রথম তাপমাত্রা নেমে গেল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। রোদের দেখা নেই। বইছে উত্তুরে হাওয়া। সকাল থেকে ঠান্ডায় জবুথবু মহানগরী। বাক্স থেকে বেরিয়ে পড়েছে ফুলহাতা সোয়েটার, জ্যাকেট, মাঙ্কিক্যাপ, মাফলার। কুয়াশা-ঢাকা কলকাতার তুলনা শুরু হয়েছে লন্ডনের সঙ্গে।

তা হলে কি অগ্রহায়ণের শেষ লগ্নেই কলকাতায় এসে গেল শীত?

আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, এটা শীত নয়। এমনকী নয় শীতের আগমনীও। একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং একটি উচ্চচাপ বলয়ের যুগলবন্দিতে এই শীত-শীত ভাব। আগামী দু’দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। বইবে উত্তুরে হাওয়াও। সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। তবে একে প্রকৃত শীত বলা যাবে না।

তা হলে কাকে বলে শীত?

আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, শীত হল এমন একটি প্রাকৃতিক পরিস্থিতি, যখন রাতের তাপমাত্রা ধাপে ধাপে কমে। দিনের আকাশ পরিষ্কার থাকায় দিনের তাপমাত্রা বাড়ে। সূর্যাস্তের পরে মাটি থেকে দ্রুত তাপ বিকিরণ হয়। ফলে তাপমাত্রা কমতে থাকে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ফারাক যত বাড়বে, তত বেশি করে অনুভূত হবে শীত। সেটাই প্রকৃত শীত।

শুক্রবার সকাল থেকে বাইরে বেরোলেই ঝাপট দিয়েছে উত্তুরে হাওয়া। রোদ না-থাকায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় যেন কামড়ে ধরছে ঠান্ডা। দিনের তাপমাত্রা তেমন না-বাড়ায় শীত ভাবটা জাঁকিয়ে অনুভূত হচ্ছে বলে হাওয়া অফিসের ব্যাখ্যা।

শীত আসুক না-আসুক, শীত-যাপন শুরু হয়ে গিয়েছে মহানগরীর। সার্কাস, জয়নগরের মোয়া, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, আলিপুর চিড়িয়াখানা সব মিলিয়ে প্রস্তুতি চলছে বড়দিনের। অনেক স্কুলেই বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। তাই শুক্রবার শীতের মজা নিতে চিড়িয়াখানায় কচিকাঁচার ভিড়।

বৈষ্ণবঘাটা পাটুলিতে সার্কাসের তাঁবুর সামনে দুপুরেই জটলা। প্রথম শো শুরুর আগেই তাঁবুর ফাঁকফোকর দিয়ে ছোটদের উঁকিঝুঁকি। হাতির স্নান, কুকুরের প্রশিক্ষণ দেখতে দেখতে চোখ ছানাবড়া। চিড়িয়াখানায় ভিড় বেশি হাতি আর বাচ্চা গন্ডারের খাঁচার কাছে। দর্শকদের অত্যধিক আদরের জন্যই যে তিন খুদে শিম্পাঞ্জিকে এ বারেও সামনে আনা গেল না, তা নিয়ে আক্ষেপ করছিলেন এক নিরাপত্তারক্ষী। সদ্য উত্তরবঙ্গ থেকে আনা শিশু হাতি ও গন্ডার নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারেনি। তাই তাদের রাখতে হচ্ছে অত্যন্ত সাবধানে।

অন্য বিষয়গুলি:

pseudo-winter kolkata calcutta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE