Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪

উৎসব কাপে নজর কাড়তে পারে উঠতিরাও

ময়দানে খেলোয়াড় উঠত ছোট ক্লাবের হাত ধরে। পুজোর ময়দানেও ছবিটা ছিল একই রকম। প্রতিযোগিতায় টিঁকতে না পেরে ময়দান থেকে হারিয়ে গিয়েছে ছোট ক্লাবগুলি। পুজোর ময়দানের ছবিটাও একই রকম! ছোট ক্লাবগুলো উঠে যাওয়ায় নতুন ফুটবলার মেলা ভার। এখানে কিন্তু ব্যতিক্রমী পুজোর ময়দান! উৎসবের কাপের লড়াইয়ের শহরের বহু বড় পুজোই এ বার ভরসা রেখেছে নতুন শিল্পীদের উপরে।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৯
Share: Save:

ময়দানে খেলোয়াড় উঠত ছোট ক্লাবের হাত ধরে। পুজোর ময়দানেও ছবিটা ছিল একই রকম। প্রতিযোগিতায় টিঁকতে না পেরে ময়দান থেকে হারিয়ে গিয়েছে ছোট ক্লাবগুলি। পুজোর ময়দানের ছবিটাও একই রকম!

ছোট ক্লাবগুলো উঠে যাওয়ায় নতুন ফুটবলার মেলা ভার। এখানে কিন্তু ব্যতিক্রমী পুজোর ময়দান! উৎসবের কাপের লড়াইয়ের শহরের বহু বড় পুজোই এ বার ভরসা রেখেছে নতুন শিল্পীদের উপরে।

সন্তোষপুর অ্যাভিনিউ সাউথে শিল্পী রিন্টু দাস তুলে এনেছেন নানা বিচিত্র উপাদানকে। পেরেক থেকে শিশুদের দুধের বোতলের নিপলবাদ যায়নি কিছুই। এন্টালির পদ্মপুকুর ২০ পল্লীর পুজোয় তিনি বেছে নিয়েছেন কয়েক হাজার আয়নাকে!

পুজো বাজারে এখনও পুরনো হননি পার্থ দাশগুপ্ত। গত বারের মতো এ বারও তিনি রাজডাঙা নবোদয় সঙ্ঘে। পুজো সাজাতে বেছে নিয়েছেন নির্মাণ সামগ্রীকে। লোহা, ইট, কাঠ, পাথর দিয়েই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। সঙ্গে থাকছে আলোর খেলা। দিনের আলো গড়িয়ে রাত নামতেই ভিন্ন চেহারায় দেখা যাবে মণ্ডপকে। গত বার কসবার অনেক পুজোতেই টেক্কা দিয়ে নজর কেড়েছিল নবোদয়। এ বারও তেমনটাই হবে বলে আশা করছেন পুজোকর্তারা।

লেকপল্লীর শিল্পী সঞ্জীব সাহা বয়সে তরুণ না হলেও পুজো ময়দানে তিনি পুরনোদের দলে নন। নানা ধরনের বিচিত্র কাজ কিংবা লোকশিল্পের মোড়কে পুজোয় কিন্তু ইতিমধ্যেই অনেকের নজর কেড়েছেন তিনি। লেকপল্লীতে তিনি নানা দেশের শাঁখ-ঝিনুকের কাজ তুলে এনেছেন। মেক্সিকো কিংবা ব্রাজিলের ঝিনুকের মাপ দেখে অনেকে অবাক হবেন। হাতিবাগান সর্বজনীনে সঞ্জীব মেলে ধরছেন তালপাতার উপরে খোদাই করা চিত্রকলার কাজ।

গত কয়েক বছরে ক্রমশই উঠে এসেছেন শিবশঙ্কর দাস। ২০১২ সালে ভবানীপুর চক্রবেড়িয়ায় তাঁর ক্রিস্টাল পাথরের কাজ চোখ টেনেছিল অনেকের। এ বারে কাশী বোস লেনের পুজোয় আলোর কারিকুরির সঙ্গে মিশিয়েছেন নানা রীতির স্থাপত্যকেও। আবার মণ্ডপে থাকছে চাঁদোয়াও। আলোর কারসাজি ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহার করেছেন বিশেষ আকারের প্লাস্টিকের বলকে। মণ্ডপের মাঝে থাকছে একটি বিশাল প্রদীপ।

গত কয়েক বছর ধরে কাজ করলেও পুজো বাজারে অরুণ সরকার এখনও নতুনের তকমা ঝেড়ে ফেলতে পারেননি। এমন শিল্পীর উপরেই এ বার পুজোর ভার দিয়েছে বেহালার প্রগতি সঙ্ঘ। ফুলের সাজির আকারে মণ্ডপ সাজিয়ে তুলছেন শিল্পী। ব্যবহার করছেন বাঁশ, কাঠ, বেতের মতো উপকরণ।

পুজোর বাজারে কয়েক বছর কাটালেও সুবোধ রায়ও নবীনের দলেই পড়েন। এ বার দক্ষিণের নামী পুজো শিবমন্দিরে বাঙালির ব্যবসার হারানো গৌরবকে তুলে ধরছেন তিনি। অনেকেই বলছেন, তারকা না হলেও চমক দেখাতেই পারেন সুবোধ। টেক্কা দিতে পারেন অনেক নামীদামিকেও!

উঠতিদের এই দাপট উৎসব কাপে কতটা থাকে, সেটাই এখন দেখার!

অন্য বিষয়গুলি:

pujo puja pandal kuntak chattopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE