বিপ্লবের মনে, প্রাণে মেসি। — ফাইল চিত্র।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হোক লিওনেল মেসির দল। আর নায়কের হাতে উঠুক সোনার বুট। এমনটাই চাইছেন হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা বিপ্লব পোদ্দার। পেশায় রেফারি বিপ্লব। সুদূর আর্জেন্টিনার ফুটবল দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ঘটেছিল ১১ বছর আগে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ভেনেজুয়েলা-আর্জেন্টিনা ম্যাচের সহকারী রেফারি ছিলেন বিপ্লব। মেসির সঙ্গে কাটানো সেই সময়ের প্রতিটা মুহূর্ত এখনও জ্বলজ্বল করছে তাঁর স্মৃতিতে। মেসির কথা উঠতেই বিপ্লব টান দিলেন স্মৃতির সুতোয়।
ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্বকাপের ফাইনালে নামতে চলেছে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স। হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে বসে সেই ম্যাচ টিভির পর্দায় দেখবেন বিপ্লব। আর মনে মনে প্রার্থনা করবেন তাঁর প্রিয় নায়ক মেসির জন্য। ২০১১ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আর্জেন্টিনা বনাম ভেনেজুয়েলা ফুটবল ম্যাচ হয়েছিল। ফিফা অনুমোদিত ভারতে প্রথম আন্তর্জাতিক চ্যারিটি ফুটবল ম্যাচ ছিল সেটা। সেই খেলায় সহকারী রেফারি ছিলেন বিপ্লব। বিপ্লব তখন সদ্য ফিফা প্যনেলভুক্ত রেফারি। তার আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানোর অভিজ্ঞতা খুব একটা ছিল না। আর্জেন্টিনা ভেনেজুয়েলা ম্যাচ খেলানোর সুযোগ পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন বিপ্লব। নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। কারণ, সেই ম্যাচে খেলেছিলেন মেসি। ১১ বছর আগের সেই দিনের কথা এমন করে বললেন যেন এই সে দি। বিপ্লব বলেন, ‘‘টস করার সময় মেসি আমার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে। স্বপ্নের ফুটবলারকে আমি সামনে থেকে দেখছি। সেটা ভেবেই সেই দিন আমার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে গিয়েছিল।’’
মেসির সঙ্গে ছবিও রয়েছে বিপ্লবের। সেই স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মেসি আমাদের সঙ্গে এসে গ্রুপ ছবি তুলল। তখন আমি এক জন জুনিয়র রেফারি। সেটা আমার দারুণ অনুভূতি হয়েছিল। কারণ এমন আন্তরিকতা আমি খুব কম খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখেছি। ওর খেলা সামনে থেকে দেখে দারুণ লাগছিল। ওকে সামনে থেকে খেলাচ্ছি এটা আমার এক বিরাট অভিজ্ঞতা। আমি আর্জেন্টিনা দল এবং মেসিকে আজ শুভেচ্ছাবার্তা জানাব। চাইব ও জিতুক। ভাল খেলুক।’’
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বিপ্লব। তাঁর মতে, ‘‘মেসির বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ওরা প্রথম ম্যাচ হেরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১১ বছর আগে যে নায়ককে সামনে থেকে দেখেছি তিনি সাফল্য পেলে আমারও ভাল লাগবে।’’
বিপ্লব যখন আর্জেন্টিনার জন্য প্রার্থনা করছেন তখন আর্জেন্টিনা নিয়ে উন্মাদনা দেখা গিয়েছে হুগলির চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল-সহ বিভিন্ন এলাকায়। শুরু হয়েছে টিম এলএম ১০-এর জন্য প্রার্থনা এবং যাগযজ্ঞ। আবার ফ্রান্সের জন্যও প্রার্থনা চলছে চন্দননগর-সহ বিভিন্ন এলাকায়। দুই দলের পতাকা নিয়ে উল্লাসে মেতেছে আট থেকে আশি সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy