FIFA World Cup 2022: Jushna Shahin went all the way from Kerala to Madrid only to meet Lionel Messi dgtl
Jushna Shahin
মেসি, তোমার জন্য! কেরলের মেয়ের মাদ্রিদ যাত্রা, স্প্যানিশ শিখে অপেক্ষা, কবে আসবে সেই দিন
কেরলের জুশনা শাহিন লিয়োনেল মেসির অন্ধ ভক্ত। মেসির সঙ্গে দেখা করে, তাঁর সঙ্গে কয়েক মুহূর্ত কথা বলাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য। সে স্বপ্ন বুনতে বুনতে কেরল থেকে মাদ্রিদ পাড়ি দিয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৫৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
ছোটবেলায় আর পাঁচ জনের সঙ্গে টিভিতে মারাদোনার খেলা দেখতেন। ছোট থেকেই ফুটবলের ভক্ত হয়ে ওঠেন। মারাদোনার দেশের পরবর্তী তারকাই বদলে দেয় তাঁর জীবনের অভিমুখ।
০২১৬
কথা হচ্ছে জুশনা শাহিনকে নিয়ে। কেরলের এই বছর ছাব্বিশের তরুণী লিয়োনেল মেসির অন্ধ ভক্ত। আর্জেন্টিনীয় তারকার খেলা দেখতে পাগলের মতো ভালবাসেন। ২০০৬ থেকে মনে মনে এক আশ্চর্য স্বপ্ন বুনছেন শাহিন। সেই স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। কিন্তু এক দিন হবেই, নিশ্চিত তিনি।
০৩১৬
মেসির সঙ্গে জীবনে অন্তত এক বার কথা বলতে চান তিনি। সাক্ষাৎকার নিতে চান ফুটবল তারকার। এই স্বপ্ন বুনতে বুনতে শাহিন এক দিন সত্যি সত্যিই কেরল থেকে মাদ্রিদ পাড়ি দিয়ে দেন।
০৪১৬
২০০৫ সালের অগস্ট মাসে আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুটবল দলে মেসির অভিষেক হয়। তখনও শাহিন জানতেন না, বহু দূর থেকেই এই ছেলেটি বদলে দিতে যাচ্ছে তাঁর ভবিষ্যৎ।
০৫১৬
কেরলের কুন্নুরের বাসিন্দা শাহিন। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে প্রথম মেসির খেলা দেখেন। আর প্রথম দর্শনেই মুগ্ধ। ঠিক করে ফেলেন, মেসির সঙ্গে দেখা করতেই হবে। কয়েক মুহূর্ত হলেও কথা বলতে হবে।
০৬১৬
স্বপ্নপূরণের জন্য অনেক দূর পর্যন্ত গিয়েছেন শাহিন। টিভি দেখে, ইন্টারনেট ঘেঁটে ফুটবলের অআকখ শিখেছেন। সংবাদমাধ্যমে মেসি সংক্রান্ত যে কোনও প্রতিবেদন কার্যত গুলে খেয়েছেন কেরল-কন্যা।
০৭১৬
২০১২ সালে আর্জেন্টিনীয় ফুটবলের ‘ঈশ্বর’ মারাদোনা কেরলে আসেন। তাঁকে সামনে থেকে দেখতে পেয়েছিলেন শাহিন। কিন্তু স্প্যানিশভাষী তারকার নাগাল পাননি।
০৮১৬
সে দিন থেকে শাহিন বুঝতে পারেন, মেসির সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর প্রাথমিক শর্ত ভাষার ব্যবধান দূর করা। এর জন্য সাংবাদিকতাকে পেশা হিসাবে বেছে নিলে যে সুবিধা হবে, তা-ও অনুভব করেন তিনি।
০৯১৬
স্প্যানিশ শিখতে চেয়ে বাবা-মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন শাহিন। দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্প্যানিশ পড়তে চলে যান ২০১৩ সালে। ২০১৯-এ সেখান থেকে বিদেশি ভাষায় স্নাতকোত্তর পাশ করে বেরিয়ে আসেন।
১০১৬
তত দিনে আরও দু’টি বিশ্বকাপ পেরিয়ে গিয়েছে। বার বার ফুটবলের চূড়ান্ত মঞ্চে ব্যর্থ হয়েছেন শাহিনের স্বপ্নের নায়ক। মেসির সাক্ষাৎকার নেওয়ার বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন কেরলের তরুণী।
১১১৬
সাংবাদিকতা পড়তে স্পেনে পাড়ি দেন শাহিন। সেখানেই এখন স্বামী, সন্তান নিয়ে তাঁর ভরা সংসার। জীবনে অনেক ওঠাপড়া এসেছে, তবে লক্ষ্য থেকে কখনও সরে আসেননি। মেসির সাক্ষাৎকার নেওয়ার স্বপ্ন কখনও ফিকে হতে দেননি।
১২১৬
স্বপ্নপূরণের এই যাত্রায় সব সময় শাহিন পাশে পেয়েছেন তাঁর স্বামী আওয়াদ আহমেদকে। বার্সেলোনার অফিসে গিয়ে এক বার মেসির উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিও দিয়ে এসেছেন তাঁরা। তবে সে চিঠি মেসির হাতে পৌঁছেছে কি না, জানা যায়নি।
১৩১৬
চলতি বছরের শুরুর দিকে শাহিন আরও ২০ জন বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিকের সঙ্গে প্যারিসে গিয়ে পিএসজি-র অনুশীলন দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। স্বপ্নকে সেখানে কাছ থেকে দেখে এসেছেন। তাঁর আর মেসির মধ্যে দূরত্ব ছিল কেবল একটি ব্যারিকেডের।
১৪১৬
এত কাছে গিয়েও অবশ্য মেসির সঙ্গে কথা বলা হয়নি। সুযোগ পাননি। একরাশ হতাশা বুকে চেপে বাড়ি ফিরে এসেছেন।
১৫১৬
তবে সাময়িক হতাশা কাটিয়ে উঠে আগামীর দিকে তাকিয়ে আছেন কেরলের তরুণী। মেসির সামনে অন্তত মিনিট পাঁচেকের জন্য দাঁড়াতে চান তিনি। কিছু ক্ষণ কথা বলে জীবন ধন্য করতে চান। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, এই সাক্ষাৎকার হয়তো আর্জেন্টিনীয় তারকা ভুলে যাবেন, কিন্তু তাঁর মনে থেকে যাবে আজীবন।
১৬১৬
‘ফিলো নিউজ়’ নামে আর্জেন্টিনার একটি সংবাদমাধ্যমে মেসির ভক্ত শাহিনের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়। শাহিন মনেপ্রাণে চান, কাতারে জীবনের শেষ বিশ্বকাপ যেন জিতে ফেরেন মেসির। স্বপ্নের নায়কের সাক্ষাৎকার নেওয়ার আশা ছাড়ছেন না শাহিন।