Lionel Messi in finals: Argentina star's career record, including at FIFA World Cup dgtl
Lionel Messi
আগের ৩১ ফাইনালে মেসি: ক্লাবের রেকর্ড দুরন্ত, কিন্তু দেশের হয়ে?
সাতটি বালঁ দ্যর। অলিম্পিক্সে সোনার পদক। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। ক্লাব বিশ্বকাপে সেরা হওয়ার ট্রফি... সবই পেয়েছেন মেসি। শুধুই অধরা থেকে গিয়েছে বিশ্বকাপ।
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতাশেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:২৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
যাত্রার সূত্রপাত ২০০৬ সালে। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন বারবার ভেঙে গিয়েছে। মাঠ ছাড়তে হয়েছে চোখের জলে। কাতারে সেই স্বপ্নের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে লিয়োলেন মেসি।
০২২০
কাতারের লুসেল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর রবিবার যাঁর বিপক্ষে মাঠে নামতে চলেছেন, সেই কিলিয়ান এমবাপেকে এরই মধ্যে অনেকটাই উজাড় করে দিয়েছে ফুটবল। কিন্তু শূন্য থেকে গিয়েছে মেসির হাত।
০৩২০
সাতটি বালঁ দ্যর। অলিম্পিক্সে সোনার পদক। বার্সেলোনার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়। ক্লাব বিশ্বকাপে সেরা হওয়ার ট্রফি... সবই পেয়েছেন মেসি। শুধুই অধরা থেকে গিয়েছে বিশ্বকাপ।
০৪২০
মেসির প্রথম বিশ্বকাপ ২০০৬ সালে। হোসে পেকারম্যানের আর্জেন্টিনার হয়ে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিরুদ্ধে পরিবর্ত হয়ে খেলতে নেমেছিলেন। প্রথম ম্যাচে গোলও করেছিলেন। কিন্তু সে বারের বিশ্বকাপে পরিবর্ত হয়েই খেলতে হয়েছিল তাঁকে। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।
০৫২০
২০১০ সালের বিশ্বকাপের আগে অবশ্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিলেন মেসি। সে বার আর্জেন্টিনার দায়িত্বে ছিলেন দিয়েগো মারাদোনা। মেসিই ছিলেন তাঁর দলের প্রধান ফুটবলার। কিন্তু সেই কোয়ার্টার ফাইনালেও জার্মানি-কাঁটায় স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মেসিদের।
০৬২০
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে মেসিকে কেন্দ্রে রেখে দল তৈরি করেছিলেন কোচ আলেহান্দ্রো সাবেয়া। সে বার গ্রুপ পর্যায়ে চারটি গোল করেছিলেন মেসি।
০৭২০
কিন্তু ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে জার্মানির কাছে হারতে হয়েছিল মেসিদের। বহু প্রতীক্ষিত ট্রফির কাছে গিয়ে ব্যর্থ হতে হয়েছিল তাঁকে।
০৮২০
২০১৮ সালেও ব্যর্থ হয়েছেন মেসি। কোনও রকমে গ্রুপ পর্ব টপকানোর পরে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ফ্রান্সের সামনে পড়েছিলেন তাঁরা। এমবাপে ঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণ। সে অর্থে গত বারের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে হারের বদলা নেওয়ার সুযোগ আছে এ বারের ফাইনালে।
০৯২০
দেশের হয়ে ট্রফি না পাওয়ার যন্ত্রণা শুরু থেকেই তাড়া করেছে মেসিকে। তা সে বিশ্বকাপই হোক বা কোপা আমেরিকা। তিন-তিন বার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
১০২০
২০০৭ সালে প্রথম বার কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন মেসি। ব্রাজ়িলের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৩ গোলে হেরেছিলেন নীল-সাদারা। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও ফাইনালে ওঠে মেসির দল। দু’বারই প্রতিপক্ষ ছিল চিলি। দু’বারই পেনাল্টিতে হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
১১২০
২০০৭ সালে প্রথম বার কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলেন মেসি। ব্রাজ়িলের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে ৩ গোলে হেরেছিলেন নীল-সাদারা। ২০১৫ এবং ২০১৬ সালেও ফাইনালে ওঠে মেসির দল। দু’বারই প্রতিপক্ষ ছিল চিলি। দু’বারই পেনাল্টিতে হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে।
১২২০
শাপমোচন ঘটে সেই মারাকানায়, যেখানে ২০১৪ সালে স্বপ্নের দরজায় পৌঁছেও বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেনি মেসি। সাত বছর পর ২০২১ সালে কোপা আমেরিকায় জয়ই মেসির প্রথম স্বপ্নপূরণ। ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান আর্জেন্টিনারও।
১৩২০
ঘটনাচক্রে, ১৯৮৬ সালে মারাদোনা আর্জেন্টিনাকে বিশ্বসেরা করতে পারলেও কখনও কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। উত্তরসূরি মেসি পেরেছেন।
১৪২০
আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির দ্বিতীয় ট্রফি জয় চলতি বছরের ফিনালিসিমায়। রক্ষণের দর্প চূর্ণ করে ইটালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ম্যাচের নায়ক হন মেসি।
১৫২০
২০০৮ সালে নাইজিরিয়াকে হারিয়ে অলিম্পিক্সও জিতেছিলেন মেসিরা। সব মিলিয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে মোট ৮টি ফাইনাল খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে ৪টিতে জিতেছেন এবং ৪টিতে হেরেছেন।
১৬২০
দেশের হয়ে ট্রফি-ভাগ্য ততটা জোরদার না হলেও ক্লাব ফুটবলের হয়ে ফাইনালে মেসির ‘রেকর্ড’ আসমান ছুঁই ছুঁই।
১৭২০
বার্সেলোনা এবং প্যারিস সঁ জরমঁ-এর জার্সিতে মোট ২৩টি ফাইনাল খেলেছেন মেসি। তার মধ্যে জিতেছেন ১৮টিতে। হেরেছেন ৫টিতে।
বার্সেলোনাকে তিনটি ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ জিতিয়েছেন মেসি। প্যারিস সঁ জরমঁ-এর জার্সি গায়ে এখনও পর্যন্ত একটিই ফাইনাল খেলেছেন। ট্রফি দেশঁ চ্যাম্পিয়ন্সে ন্যান্তেসকে ৪ গোলে হারায় মেসির দল।
২০২০
গত ১৬ বছর ধরে ফুটবল দুনিয়াকে কার্যত শাসন করেছেন মেসি এবং পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। প্রায় সব ট্রফিই তাঁদের ঝুলিতে রয়েছে। বাদ থেকে গিয়েছে শুধু বিশ্বকাপ। এ বছর কোয়ার্টার ফাইনালের গণ্ডি পেরোতে পারেননি রোনাল্ডরা। আর্জেন্টিনা পেরেছে। ফাইনালেও উঠেছে। এ বার কি মেসির ভাগ্য সহায় দেবে? না কি আরও এক বার ট্রফির পাশ দিয়ে খালি হাতেই চলে যেতে হবে তাঁকে? সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।