বিশ্বকাপ ফাইনালে ৭টি কীর্তি গড়তে পারেন মেসি। ছবি: টুইটার।
২০১৪ সালে প্রথম সুযোগে পারেননি। রবিবার আর্জেন্টিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার দ্বিতীয় সুযোগ লিয়োনেল মেসির সামনে। একাধিক ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ার সুযোগও রয়েছে আর্জেন্টিনার অধিনায়কের সামনে।
বিশ্বের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের আলোচনায় আগেই চলে এসেছেন মেসি। পেলে এবং দিয়েগো মারাদোনার সঙ্গে তুলনা হচ্ছে তাঁর। প্রথম দু’জন বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেও মেসি পাননি। তবু ফুটবলার হিসাবে দক্ষতা এবং সাফল্য তাঁকে নিয়ে এসেছে সর্বকালের সেরার লড়াইয়ে। রবিবার দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে নিজের দাবি আরও পোক্ত করার সুযোগ রয়েছে তাঁর সামনে। ৭টি ব্যক্তিগত কীর্তি অপেক্ষা করছে মেসির জন্য। পেলেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এক: ২০০৬ সাল থেকে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলছেন মেসি। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। বিশ্বকাপের সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার ক্ষেত্রে তিনি রয়েছেন যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থানে। জার্মানির বিশ্বজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক লোথার ম্যাথিউজও বিশ্বকাপের ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল হবে মেসির বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচ। মাঠে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একক ভাবে শীর্ষে চলে আসবেন। মেসি হবেন বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার।
দুই: ২৫টি ম্যাচ মিলিয়ে বিশ্বকাপে মেসি এখনও পর্যন্ত খেলেছেন মোট ২১৯৪ মিনিট। সময়ের হিসাবে তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে রয়েছেন ইটালির প্রাক্তন ফুটবল পাওলো মালদিনি। তিনি বিশ্বকাপে মোট ২২১৭ মিনিট খেলেছেন। রবিবারের ফাইনালে ২৪ মিনিট খেললে এ ক্ষেত্রেও শীর্ষে উঠে আসবেন মেসি।
তিন: বিশ্বকাপে ২৫টি ম্যাচ খেলে মেসি জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ১৬টি ম্যাচে। এই ক্ষেত্রেও তিনি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে। কাতারে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারলে আরও একটি ব্যক্তিগত রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ পাবেন তিনি। বিশ্বকাপের ১৭তম ম্যাচ জেতার সুবাদে জার্মানির প্রাক্তন ফুটবলার মিরোস্লাভ ক্লোজের সব থেকে বেশি ম্যাচ জেতার নজির স্পর্শ নজির করবেন মেসি।
চার: এখনও পর্যন্ত মেসি বিশ্বকাপে ৯টি গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। ফাইনালে সতীর্থদের দিয়ে আরও ২টি গোল করাতে পারলে ভেঙে দেবেন পেলের রেকর্ড। একটি গোলে সাহায্য করলেও পেলেকে ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। বিশ্বকাপের ম্যাচে পেলে সতীর্থদের দিয়ে ১০টি গোল করিয়েছেন। যে রেকর্ড এখনও পর্যন্ত অক্ষত রয়েছে।
পাঁচ: ২০১৪ সালে দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে না পারলেও প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মেসি। জিতেছিলেন সোনার বল। এ বার কাতারেও সোনার বল জেতার অন্যতম দাবিদার। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে কোনও ফুটবলারের দু’বার সোনার বল জেতার নজির নেই। অর্থাৎ, কেউ ২টি বিশ্বকাপে সেরা ফুটবলার হতে পারেননি। মেসি কাতারে সোনার বল জিতলে এ ক্ষেত্রে তিনিই হবেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার।
ছয়: কাতার বিশ্বকাপে মেসি এখনও পর্যন্ত করেছেন ৫টি গোল। সোনার বুট জেতার দৌড়ে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে যৌথ ভাবে শীর্ষে রয়েছেন। প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে পারলে জিতবেন সোনার বুট। বিশ্বের সপ্তম ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপে সোনার বুট এবং সোনার বল জেতার নজির গড়বেন মেসি। এখনও পর্যন্ত এই কৃতিত্ব রয়েছে ব্রাজিলের লিয়োনিদাস দ্য সিলভা, গ্যারিঞ্চা, রোনাল্ডো, ইটালির পাওলো রোসি, সালভাতোর স্কিলাচি এবং আর্জেন্টিনার প্রাক্তন ফুটবলার মারিয়ো কেম্পেস। রোনাল্ডো বাদে সকলে একটি বিশ্বকাপেই ২টি পুরস্কার জিতেছিলেন।
সাত: এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে মেসি ১১টি গোল করেছেন এবং ৯টি গোল করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। অর্থাৎ, দলের ২০টি গোলে তাঁর অবদান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাঁর আগে রয়েছেন শুধু পেলে। ব্রাজিলের প্রাক্তন ফুটবলার বিশ্বকাপে ১২টি গোল করেছিলেন এবং সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছিলেন ১০টি গোল। দলের মোট ২২টি গোলে তাঁর অবদান ছিল। ফাইনালে দলের ২টি গোলে অবদান রাখতে পারলে এ ক্ষেত্রেও পেলেকে ছুঁয়ে ফেলবেন মেসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy