প্রতিমন্ত্রী নয়, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই স্বাস্থ্য বাজেটের জবাবি বক্তৃতা করতে হবে। এই দাবিতে বিরোধী কংগ্রেস ও বাম স্বাস্থ্য বাজেটের শেষে দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বক্তৃতা বয়কট করল। চন্দ্রিমাদেবী বলতে উঠতেই সোমবার কংগ্রেস ও বাম অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে।
বিরোধীরা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর জবাবকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না দেখে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে থাকেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমাদেবীকে জবাব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে সব সময়ে যে কক্ষে থাকতে হবে, এমন নয়। তাঁর কাজ রয়েছে। তিনি যে স্বাস্থ্য বাজেটে থাকতে পারবেন না, তা আগেই চিঠি লিখে জানিয়েছেন।’’ তাঁর বক্তব্য বিরোধীরা বয়কট করছে দেখে চন্দ্রিমাদেবী ভাষণের শুরুতেই বলেন, ‘‘আমাকে মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিতে বলেছেন। ওঁরা যে ভাবে বয়কট করলেন, তাতে অসম্মানিত বোধ করছি।’’ বিরোধীরা কেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য না শুনে ওয়াকআউট করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্পিকারও বলেন, ‘‘নিজেদের বক্তব্য বলার পরে মন্ত্রীর বক্তব্যর সময় ছুতো করে চলে গেলেন বিরোধীরা, এটা অসৌজন্যমূলক আচরণ। আমি পরে ওদের সঙ্গে কথা বলব।’’
এর আগে পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি বাজেটের বিতর্কের শেষে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জবাবের জন্য বরাদ্দ ছিল কুড়ি মিনিট। সময় শেষ হলেও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেওয়া বাকি ছিল মন্ত্রীর। তখন সুব্রতবাবুকে স্পিকার আরও পাঁচ মিনিট সময় দেন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীদের নির্ধারিত সময়ের থেকে একটুও বেশি সময় দেওয়া হয়নি। তা হলে মন্ত্রীকে কেন দেওয়া হবে? বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে মন্ত্রী একতরফা ভাবে পঞ্চায়েত ভোটের বক্তৃতা করেছেন, এই অভিযোগে কক্ষত্যাগ করেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা।
এ বার মুখ্যমন্ত্রীর স্বরাষ্ট্র-সহ মোট ৩৭টি দফতরের বাজেট গিলোটিনে যাচ্ছে। ৭ মার্চ অধিবেশনের শেষ দিনে গিলোটিন-পর্ব। প্রতিবাদে ওই দিন বিধানসভার গাড়ি-বারান্দায় নকল অধিবেশন করবে বিরোধীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy