মহকুমাশাসকের (কাটোয়া) সামনেই গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল। কেতুগ্রাম ২ ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি মলয় ঘোষ-সহ দু’জনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল কেতুগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা ওই পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দেবাশিস মণ্ডলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। দেবাশিসবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শুক্রবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের পাঁচুন্দিতে। মলয়বাবু কেতুগ্রাম থানায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন পাচুন্দিতে পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালিত ‘ঐকতান’ হলে ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন এসডিও (কাটোয়া) মৃদুল হালদার। বৈঠকে সুপারভাইজার, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। এসডিও বিকেল পাঁচটা নাগাদ বৈঠকে হাজির হয়ে দেখেন, হলের ভিতর প্রচুর বহিরাগত রয়েছে। তখন তিনি বহিরাগতদের হল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসডিওর নির্দেশ পেয়ে প্রথমে বহিরাগতরা বেরিয়ে যান। কিন্তু বৈঠক শুরু হওয়ার মুখে বহিরাগতদের একাংশ হলের ভিতর ঢুকে পড়ে। এরপরে এসডিওর সামনেই মলয়বাবু ও নিরোলের তৃণমূল নেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের জামার কলার ধরে টানতে টানতে বাইরে বের করে আনা হয়। মলয়বাবুর অভিযোগ, “দলের ব্লক সভাপতি দেবাশিস মণ্ডলের অনুগামীরা আমাদের ব্যাপক মারধর করে। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মারতে যায়।” তাঁর দাবি, মহকুমাশাসকের কথা মত আমরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম। এসডিওর সামনেই আমাদের মারধর করা হয়েছে। এসডিওর পরামর্শ মত থানায় অভিযোগ করেছি। তিনি পুরো বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে দাবি করেন মলয়বাবু। এই ঘটনার পর অবশ্য বৈঠক ভেস্তে যায়।
তৃণমূলের কেতুগ্রাম ২ ব্লক সভাপতি তথা ওই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি দেবাশিস মণ্ডলের পাল্টা অভিযোগ, “আমি এসডিওর পাশে বসেছিলাম। আমি কখন উস্কানি দিলাম? রাজনীতি করার জন্য আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।” মহকুমাশাসক (কাটোয়া) মৃদুল হালদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy