দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় নিজের দফতরে ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন খোদ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান।
মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান বন্দনা সিংহ বিডিও এবং দলীয় স্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগের তির ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। একই সঙ্গে নিত্যানন্দবাবুকে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা দলের ব্লক সভাপতি মধুসূদন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ওই দুই নেতা। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বন্দনাদেবী অভিযোগ করেন, “পঞ্চায়েতে চরম দুর্নীতি চলছে। প্রতিবাদ করায় আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কোনও সদস্য প্রতিবাদ করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে।’’ মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ও নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় ১৫ দিন ধরে দফতরেও যেতে পারেননি বলে তাঁর দাবি। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়ের কাছে লিখিত অভিযোগে বন্দনাদেবী জানান, গত ৭-৮ মাস ধরে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে হুমকি ও চাপ দিয়ে অবৈধ ও অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করছেন। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের দরপত্রে, গাছ বিক্রি, একশো দিনের কাজ থেকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা-সহ বিভিন্ন ব্যাপারে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমার সই জাল করে বিভিন্ন শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ এ ছাড়াও নিত্যানন্দবাবু কয়েকজন গুন্ডা পঞ্চায়েত অফিসে বসিয়ে রেখে বিভিন্ন কাজে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তোলা আদায় করছেন বলেও তাঁর দাবি। বন্দনাদেবীর অভিযোগ, ব্লক সভাপতি মধুসূদনবাবুকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।
মেমারি ১-এর বিডিও শৈলশেখর সরকার বলেন, “চিঠি পেয়েছি। সমস্যা মিটে যাবে। প্রধান অসুস্থ বলে অফিসে যেতে পারছেন না।” নিত্যানন্দবাবু ও মধুসূদনবাবুর দাবি, “দল বা প্রশাসন তদন্ত করুক। তাহলেই সত্যিটা সামনে চলে আসবে। কারও কারও অসাধু কাজে বাধা দিচ্ছি বলেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” তৃণমূল সূত্রে খবর, বন্দনাদেবীর পাশে রয়েছেন দলের জেলা সংখ্যালঘু কমিটির সভাপতি সেলিম মোল্লা। তাঁর কথায়, “বাগিলা পঞ্চায়েতে কী চলছে, সবাই জানে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy