Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বুদবুদে ফের হদিস প্রতারণা চক্রের

কখনও সিআইডি সেজে তোলা আদায়। কখনও জ্যোতিষী সেজে প্রতারণা। কখনও আবার দুর্নীতিদমন শাখার অফিসার পরিচয়ে অপকর্ম। একের পর এক এই ধরনের প্রতারণা চক্রের হদিস মিলছে কাঁকসা-বুদবুদ এলাকায়। ধৃতদের মধ্যে অনেকে ভিন্‌ রাজ্যের। কেউ কেউ আবার অন্য জেলা থেকে এসে এই সব কারবার ফেঁদেছে। পরপর এমন ঘটনা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পুলিশও। জেলা পুলিশের তরফে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুদবুদ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৫ ০২:২২
Share: Save:

কখনও সিআইডি সেজে তোলা আদায়। কখনও জ্যোতিষী সেজে প্রতারণা। কখনও আবার দুর্নীতিদমন শাখার অফিসার পরিচয়ে অপকর্ম।

একের পর এক এই ধরনের প্রতারণা চক্রের হদিস মিলছে কাঁকসা-বুদবুদ এলাকায়। ধৃতদের মধ্যে অনেকে ভিন্‌ রাজ্যের। কেউ কেউ আবার অন্য জেলা থেকে এসে এই সব কারবার ফেঁদেছে। পরপর এমন ঘটনা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পুলিশও। জেলা পুলিশের তরফে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার রাতেই বুদবুদে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের তিলডাঙা মোড়ের কাছে দুর্নীতিদমন শাখার স্টিকার লাগানো গাড়ি থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, রাতে একটি লরিকে ওই গাড়িটি ধাওয়া করছে দেখে পুলিশের টহলদার ভ্যান পিছু নেয়। কিছু দূরে গিয়ে গাড়িটিকে আটকে পুলিশ দেখে, সেটিতে দুর্নীতিদমন শাখার স্টিকার সাঁটানো রয়েছে। গাড়ি আটকানোর জন্য নিজেদের দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে পুলিশকে হুমকি দেয় গাড়ির তিন যাত্রী। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সদুত্তর না পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বাড়ি মধ্যমগ্রামের শ্রীপুরে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, প্রায় বছর পাঁচেক ধরে তারা রাজ্যের নানা প্রান্তে প্রতারণা করে আসছে। নিজেদের দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিক পরিচয় দিয়ে হোটেলে থাকা, তোলা আদায় করা, বিভিন্ন সুযোগসুবিধা নেওয়ার মতো কাজ তারা করে বলে জেনেছে পুলিশ।

সম্প্রতি কাঁকসার এগারো মাইল এলাকায় সিআইডি পরিচয় দিয়ে রাতে রাজ্য সড়কে লরি আটকে তোলা আদায়ের অভিযোগে একটি চক্রকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছুটিতে বাড়ি আসা দুর্গাপুরের এক বিএসএফ কর্মীও ছিলেন। কয়েক দিন আগে জ্যোতিষচর্চার নামে প্রতারণার অভিযোগে একটি চক্র ধরা পড়ে বুদবুদ থেকে। ভিন্‌ রাজ্য থেকে এসে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এখান থেকে তারা সেই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। বারবার এলাকা থেকে এই ধরনের চক্রের হদিস মেলা নিয়ে খানিকটা চিন্তায় পড়েছে পুলিশও। জেলার এক পুলিশকর্তা শুক্রবার বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ওই এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ এসেছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE