Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

স্টেশনের কাছে দেহ মিলল এনআইটি ছাত্রের

এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিটি সেন্টারের একটি শপিংমলে যান তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই ছাত্র। সেখান থেকে ফোনে প্রথমে বাবার সঙ্গে কথা বলেন।

মৃত ছাত্র ভি কৃষ্ণ সাই।

মৃত ছাত্র ভি কৃষ্ণ সাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০১:৪৩
Share: Save:

রাতে হস্টেলে ফেরেননি তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। বুধবার সকালে দুর্গাপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধারে মিলল এনআইটি-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ভি কৃষ্ণ সাইয়ের (১৯) দেহ। প্রাথমিক ভাবে রেলপুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন ওই ছাত্র। ঘটনার তদন্ত চলছে।

এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সিটি সেন্টারের একটি শপিংমলে যান তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওই ছাত্র। সেখান থেকে ফোনে প্রথমে বাবার সঙ্গে কথা বলেন। এর পরে ভাই, মেডিক্যালের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া যশনাথ সাইকে ফোন করে জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। ভাই যেন বাবা-মার দেখাশোনা করে। এর পরে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। বন্ধুদের থেকেও আলাদা হয়ে যান তিনি।

রাতেই তেলঙ্গানার খাম্মাম থেকে তাঁর বাবা রামলিঙ্গাইয়া ভি এনআইটি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সহপাঠীরা বিষয়টি দুর্গাপুর থানায় জানান। বুধবার সকালে রেলপুলিশ পশ্চিম রেলগেট ও গ্যামনব্রিজের মাঝে রেললাইনের ধারে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে। তাঁর পকেটে মেলা পরিচয়পত্র দেখে রেলপুলিশ নিশ্চিত হয়, দেহটি এনআইটি-র নিখোঁজ পড়ুয়ার। তাঁর কাছে একটি প্ল্যাটফর্মের টিকিট পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোনও। রেলপুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রাতে স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটে ঢোকেন তিনি। এর পরে প্ল্যাটফর্ম থেকে আসানসোলের দিকে রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকেন। সেই সময়েই কোনও ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মোবাইলের সূত্র ধরে রেলপুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এক সহপাঠী বলেন, ‘‘ওকে দেখে বোঝা যায়নি, কোনও রকম মানসিক চাপে আছে। খুব শান্ত স্বভাবের ছিল। যে কোনও ঝামেলা এড়িয়ে চলত।’’ মঙ্গলবার রাতেই ওই পড়ুয়ার বাবা ও মামা নারায়ণায়া রাও দুর্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বুধবার দুপুরে তাঁরা দুর্গাপুরে পৌঁছন। পড়ুয়ার বাবা রেলপুলিশকে জানান, বছর দুয়েক ধরে ছেলে পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন। কানেও কম শুনতেন। এ সব নিয়ে মানসিক অবসাদ ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফোনে কথা বলার পরেই তাঁদের সন্দেহ হয়।

এনআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে অচেতন অবস্থায় এক পড়ুয়াকে উদ্ধার করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের অগস্টে কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, আগ্রার অমিত কুমারের (১৯) রক্তাক্ত দেহ মেলে পাশের হস্টেলের সামনের চত্বর থেকে। মঙ্গলবার ফের আর এক পড়ুয়ার অপমৃত্যুতে চিন্তিত এনআইটি কর্তৃপক্ষ। ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর কমল ভট্টাচার্য জানান, ভি কৃষ্ণ সাইয়ের মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হবে। সহপাঠী ও সংশ্লিষ্ট বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কমিটি।

বজ্রাঘাতে মৃত্যু। খেত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাতারের শুনুর গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম, শ্যামল দাস (২৯)। ঘটনার পরেই তাঁকে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE