Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
আউশগ্রাম, গুসকরায় অশান্তি

বোমাবাজি, মারের নালিশ সিপিএমের 

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বোমাবাজি করেছে সিপিএমের লোকজনই।

গুসকরায় গোলমালে শেষ হয়নি রং করা, দাবি সিপিএমের। নিজস্ব চিত্র

গুসকরায় গোলমালে শেষ হয়নি রং করা, দাবি সিপিএমের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০১:৪৭
Share: Save:

দেওয়াল লেখা নিয়ে সিপিএম-তৃণমূল গোলমাল বাধল আউশগ্রাম ও গুসকরায়। শনিবার দুপুরে আউশগ্রামের উক্তা পঞ্চায়েতের বট গ্রামের উত্তরপাড়ায় তাঁদের লোকজনের দিকে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ সিপিএম নেতাদের। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বোমাবাজি করেছে সিপিএমের লোকজনই। পুলিশ অবশ্য জানায়, বোমাবাজির কোনও খবর মেলেনি। গুসকরায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়াল লেখার সময়ে সিপিএম কর্মীদের তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।

সিপিএমের অভিযোগ, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ পাড়ার ভিতরে আগে থেকে অনুমতি নিয়ে রাখা দেওয়ালে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমের সমর্থনে দেওয়াল লিখছিলেন কয়েকজন। খানিক পরেই তিন-চার জন তৃণমূল কর্মী এসে প্রথমে গালিগালাজ শুরু করে ও রঙের কৌটো ফেলে দেয়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হতেই তারা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। সিপিএমের দাবি, চারটি বোমা ছোড়া হয়েছে। দলের জেলা কমিটির সদস্য আলমগীর মণ্ডলের অভিযোগ, “দেওয়াল লেখা বন্ধ করতে প্রথমেই বোমা ছুড়ল তৃণমূল। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বোমাবাজি করেছে সিপিএমের লোকজনই। আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি টগর শেখের দাবি, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে তো লোকজন নেই। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে দেওয়াল লিখছিল। সেই সময়ে আমাদের লোকজনকে গালিগালাজ করে। তার পরেই হঠাৎ বোমা ছুড়তে শুরু করে।’’ আউশগ্রাম থানার পুলিশের যদিও দাবি, পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছিল। ওই গ্রাম থেকে বোমাবাজির কোনও খবর মেলেনি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় গুসকরা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইটাচাঁদায় দেওয়াল লিখছিলেন সিপিএমের জনা ছয়েক কর্মী। সিপিএমের দাবি, ওই ওয়ার্ডে তাঁদের দলের দুই সদস্যের অনুমতি নিয়েই বাড়ির দেওয়ালে লেখা চলছিল। ওই ওয়ার্ডের সিপিএমের বিদায়ী কাউন্সিলর আফসোনা বেগমের শৌচালয়ের দেওয়ালে লেখার সময়ে তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত জনা পাঁচেক স্থানীয় যুবক আচমকা লাঠি নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। তারা দেওয়াল লেখার সরঞ্জাম ফেলে দেয় ও হুমকি দিতে থাকে বলে সিপিএম কর্মীদের দাবি।

সিপিএমের অভিযোগ, এই ঘটনায় আহত দলের কর্মী রফিক শেখ, ধনেশ্বর মালিক, সঞ্জয় মণ্ডল, সন্ন্যাসী বিশ্বাস, প্রশান্ত কর্মকার এবং আনারুল মণ্ডলের চিকিৎসা করানো হয় গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। রাতে রফিক শেখ চার জনের নামে গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানানো হয় বলে দাবি সিপিএমের।

তৃণমূলের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি কুশল মুখোপাধ্যায়ের অবশ্য পাল্টা দাবি, ওই এলাকায় তৃণমূলের রং করা দেওয়ালে লিখছিলেন সিপিএমের লোকজন। তার প্রতিবাদ জানান এলাকায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। তবে কাউকে মারধর করা হয়নি বলে তাঁর দাবি। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 CPM TMC Wall Writing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE