রঙের পসরা। ছবি: পাপন চৌধুরী।
দোলের দিন সকালে রাস্তায় যাঁর সঙ্গেই দেখা হবে, আবির ও বাতাসা দিয়ে আলিঙ্গন করতে হবে, কর্মীদের বার্তা দিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার বর্ধমানের টাউন হলে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা নুরুল ইসলামের স্মরণসভায় দলের নেতাদের এমন বার্তাই দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। পরে দলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, “দোলের দিন যাঁরা রাস্তায় থাকবেন, যাঁরা উৎসব করবেন সবাই তো আমাদের ঘরের লোক। তাঁদের আবির ও বাতাসা দিয়ে আলিঙ্গন করতে বলেছি। ভালবাসাই তো সব।’’
সবুজ, লাল বা গেরুয়া— ভোটে জিতলে আবির খেলা নিশ্চিত। কিন্তু তার আগে প্রচারেও রং ছড়াতে দোলকে বেছে নিচ্ছে সব শিবির। মঙ্গলবার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হৃদয় দিয়ে হোলি খেলার বার্তা দেন। জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, তার পরে দলের মধ্যে তৎপরতা আরও বাড়ে। কালনা-সহ জেলার একাংশে রং খেলা হবে আজ, বৃহস্পতিবার। বর্ধমান শহর ও কাটোয়া মহকুমার নানা এলাকার মানুষ আবার রং-আবিরে মাতবেন শুক্রবার। এই দু’দিনই উৎসবকে সামনে রেখে জনসংযোগ করতে চাইছেন নেতা-নেত্রীরা।
প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে প্রচার শুরু করে দেওয়ার ব্যাপারে অন্যদের থেকে খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। দোলে প্রচারেও বাকিদের পিছনে ফেলার ছক কষছে তারা। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থীদের আবির, বাতাসা, প্রয়োজনে মিষ্টি নিয়ে দোল পালনে নামতে বলেছেন দলের নেতারা। বিভিন্ন মঠ-আশ্রমের পাশাপাশি নানা সংগঠনের ‘বসন্ত উৎসবে’ যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে নেতাদের। জেলা সভাপতি স্বপনবাবু বলেন, “আমি সকাল ৬টা নাগাদ কালনার দু’টি সংগঠনের দোল উৎসবে যাব। সন্ধ্যার দিকেও বেশ কিছু অনুষ্ঠানে থাকব।’’ কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উৎসব মানে মানুষের মিলন। সেই মিলন-প্রাঙ্গণে সবাইকে থাকতে বলা হয়েছে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল জানান, তিনি সকালে কাটোয়ার বিশ্বশুক আশ্রমে যাবেন। পরে জামালপুর ও রায়নায় মিছিলে হাঁটবেন। বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতা জানান, সকালের দিকে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন সংগঠনের ‘বসন্ত উৎসবে’ তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকেলে ভাতারের বনপাশে তৃণমূল প্রভাবিত একটি সংগঠনের উৎসবে শামিল হবেন। এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরী বলেন, “বন্ধু, পাড়ার ছোটদের সঙ্গে সামাজিক উৎসবে আমি থাকব। পরে রাজনৈতিক প্রচারে যোগ দেব।’’ তবে রঙের উৎসব থেকে কিছুটা দূরে থাকবেন সিপিএমের বর্ধমান পূর্বের প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “বৃহস্পতি ও শুক্রবার কোথাও বেরোচ্ছি না। দলের অফিসেই আগামী দিনের কর্মসূচির পরিকল্পনা করব।’’
বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হলেও দলের কর্মীরা দোলে বসে থাকছেন না। দল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি বৈঠকে বিজেপি নেতা সন্দীপ নন্দী কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, দু’দিনই রাস্তায় নেমে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। নগর-কীর্তন হোক বা ক্লাবের মাধ্যমে, নানা ভাবে পথে নামতে হবে। বিজেপি-র বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ ঘোষও বলেন, “মানুষকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য পথে নামব।’’
ভোট-ম্যাসকট নিয়ে দোলে কর্মসূচি রয়েছে জেলা নির্বাচন কমিশনেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy