উখড়াতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
আজ, শনিবার রাজ্যে প্রথম দফায় প্রচারে আসছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ দিন দুর্গাপুর ও কুলটিতে সভা করার কথা তাঁর। ইতিমধ্যেই রাহুলের সভাকে সফল করতে কোমর বেঁধে নামতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম নেতা-কর্মীদের। কংগ্রেস সহ-সভাপতির সভার আগেই শুক্রবার জামুড়িয়ার চুরুলিয়ার একটি সভা থেকে রাহুলকে বিঁধলেন তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিরোধীদের দাবি, জোটকে ভয় পেয়েছেন বলেই কল্যাণবাবু রাহুলের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন।
এ দিন চুরুলিয়াতে জামুড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থী ভি শিবদাসনের সমর্থনে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণবাবু। সেখান থেকেই রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ করেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে সিপিএম কটূক্তি করেছিল বলে দাবি করেন কল্যাণবাবু। তারপরেই রাহুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে সিপিএমের হাত ধরেছে তাঁর (রাহুলের) দল। এ ভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন তাঁর দুঃস্বপ্ন হয়ে যাবে।’’ সভা থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও বিঁধতে ছাড়েননি কল্যাণবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘কংগ্রেসকে হটিয়েই সিপিএম ক্ষমতা দখল করে। এখন সে সব ভুলে গিয়েছেন ওঁরা।’’ এ দিন জামুড়িয়ার ইলেকট্রিসিটি গ্রাউন্ডে সভা করেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সিও। সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকেও বিঁধেছেন কল্যাণবাবু।
তবে কল্যাণবাবুর বক্তব্যকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক, ‘‘রাজ্যে আগুন নেভানোই এখন প্রধান কাজ। তাই সকলে মিলে জোট হয়েছে।’’ কংগ্রেস নেতা চণ্ডী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘জোটকে ভয় পেয়েই উনি এখন এমন কথা বলছেন।’’
এ দিন জামুড়িয়ার ইলেকট্রিসিটি মাঠে সভা করেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী।
জামুড়িয়াতে সভা শেষের পর জেলা পরিষদের সদস্য তৃণমূল নেতা তাপস চক্রবর্তী দাবি করেন, চলতি মাসের ৬ তারিখ জামুড়িয়ার বিজয়নগরে নির্বাচনী সভা করতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy