ছবি সমাজ মাধ্যম থেকে সংগৃহীত।
এ বার ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ তুললেন হাওড়া ময়দানের ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির কর্মীরা। তাঁদের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুরজিৎ সাহার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। রেড ক্রসের ওই হাসপাতালের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের ওই নেতা যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে হাওড়া থানার পুলিশ।
হাওড়া ময়দানে দীর্ঘ দিন ধরে ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির একটি শাখা রয়েছে। তাদের একটি শিশু হাসপাতালও রয়েছে সেখানে। হাসপাতালটি পরিচালনা করে রাজ্য রেডক্রস সোসাইটি অনুমোদিত একটি কমিটি। ২০২১ সালের মার্চ মাসে অনুমোদিত কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত তিন বছর ধরে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি ওই হাসপাতাল চালাচ্ছিল। কমিটিতে ছিলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান তথা চিকিৎসক সুজয় চক্রবর্তী। গত ১ অক্টোবর রাজ্যের তরফে থেকে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। অভিযোগ, এর পরেই হাসপাতালের দখল নিতে শুরু হয়ে যায় দুই গোষ্ঠীর লড়াই।
অভিযোগ, শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় নেতা সুরজিতের নেতৃত্বে ওই হাসপাতালে হামলা করা হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন হাসপাতালের কর্মীরা। ওই সংস্থার হাওড়া জেলার কো-অর্ডিনেটর মন্দিরা চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, তাদের হুমকি দিয়েছেন সুরজিৎ। তাঁর আরও দাবি, নতুন কমিটি হওয়ায় তৃণমূলের রোষ গিয়ে পড়েছে কর্মীদের উপর। এতে তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। যদিও সুরজিৎ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের টিকার জন্য গিয়েছিলাম। আমার কাছ থেকে হাজার টাকা চাওয়া হয়। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে আমাকে ধাক্কা মারা হয়।’’ তাঁর দাবি, তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সরাসরি তিনি অস্বীকার করেন।
অন্য দিকে, ওই কমিটির পুরনো সদস্য সুজয় জানিয়েছেন, তিনি এই ব্যাপারে কিছু জানেন না। তবে তিনি এখনও ওই কমিটির সদস্য রয়েছেন। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির হাওড়া শাখার প্রেসিডেন্ট জেলাশাসক এবং চেয়ারম্যান নিশীথ চৌধুরী। এ ভাবে নতুন কমিটি হলে মানব না।’’
আইআরসিএসের হাওড়া ব্রাঞ্চের কো-অর্ডিনেটর মন্দিরা জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন অবিলম্বে ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ হোক। না হলে ওই তাঁরা রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হবেন। আন্দোলনের কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy