এই চত্বরেই হয় দোল উৎসব। নিজস্ব চিত্র
চিৎপুরের যাত্রা থেকে পাঁচশো টাকার রসগোল্লা, সবই থাকে এই এলাকার দোল উৎসবে। কোথাও আবার উৎসব উপলক্ষে দেখা যায় সম্প্রীতির সুর। জেলার নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে এমনই নানা পারিবারিক দোল উৎসব। এ বারেও সেখানে প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে।
পূর্বস্থলী ১-এর দোগাছি গ্রাম। জনশ্রুতি, প্রায় ৪৫০ বছর আগে এখানেই মেড়তলার বাসিন্দা শ্রীধর কর (পরে রায়চৌধুরী) দু’টি মন্দির তৈরি করেছিলেন। একটিতে অধিষ্ঠিত কালী, দুর্গা। অন্যটিতে মদনমোহন, গোপীনাথ, রাধাকৃষ্ণ ও লক্ষীনারায়ণের অধিষ্ঠান। এই বংশেরই বর্তমান উত্তরাধিকারী প্রণব রায়চৌধুরী, বাবুল রায়চৌধুরী, মন্দিরের পুরোহিত পরমানন্দ ভট্টাচার্যেরা জানান, মদনমোহনের মূর্তিটি কষ্ঠি পাথরের। বছরভর এই মন্দিরে তিন বার পুজো হয়। থাকে নেড়া পোড়া, চিৎপুরের দলের যাত্রানুষ্ঠানও। দোল উপলক্ষে তৈরি করা হয়, ১০০, ২০০ ও ৫০০ টাকা মূল্যের পেল্লাই মাপের রসগোল্লা। দোল উপলক্ষে এই সময়ে গ্রামে মেলা বসে। যোগ দেন দোগাছি, দাস্তিপাড়া, মুদাফর-সহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ।
একই ভাবে পারিবারিক উৎসব হলেও বর্ধমানের জাফরাবাদ ও উত্তর রামনগরেও তা ‘সম্প্রীতির উৎসব’-এ পরিণত হয়েছে। জাফরাবাদে অধিকারী পরিবারের দোল উৎসব প্রায় ৪৫০ ধরে চলে আসছে। এই উৎসব শুরুর সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বর্ধমান রাজ পরিবারেরও। রাধা-মাধবের সেবা করেন এক বৈষ্ণবের শিষ্যা এবং তাঁর দুই সন্তানের বংশধরেরা। বংশের প্রবীণ ব্যক্তি অধীর অধিকারী বলেন, ‘‘এখন ছ’টি পরিবার ঠাকুরের সেবা করে। দোলের দিন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ যোগ দেন।’’ একই রকম উৎসবের মেজাজ থাকে উত্তর রামনগর গ্রামেও। এখানেও অধিকারী পরিবারের প্রায় চার শতাব্দীর পুরনো উৎসব ও পুজোয় যোগ দেন বহু গ্রামের মানুষ। থাকে হরিনাম সংকীর্তনও।
এ ছাড়া সমুদ্রগড়, গঙ্গানন্দপুর, রাজাপুর, শ্রীরামপুর, জাহান্নগর প্রভৃতি এলাকাতেও দিনটিতে নানা কর্মসূচি থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy