Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

একই জায়গায় ফের ধস কেন্দায়

এ দিন ধস নামার খবর পেয়ে বিডিও-র (জামুড়িয়া) প্রতিনিধি হিসেবে মহম্মদ বাদশা শেখ নামে ব্লক অফিসের এক আধিকারিক এলাকা পরিদর্শন করেন। ধসের জেরে তৈরি হওয়া গর্তটিও ঘিরে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে ইসিএল।

তৈরি হয়েছে গর্ত। নিজস্ব চিত্র

তৈরি হয়েছে গর্ত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৮:২০
Share: Save:

গত বছর দুর্গাপুজোর সময়ে ধস নেমেছিল এই গ্রামে। ন’মাস কাটতে না কাটতেই শনিবার ফের জামুড়িয়ার কেন্দা গ্রামে সেই একই জায়গায় ধস নেমেছে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করা হলে যে কোনও মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বাসিন্দারা জানান, এ দিন ভোরে কেন্দা এরিয়ার নিউকেন্দা কোলিয়ারি থেকে কেন্দা গ্রাম যাওয়ার পথে গোয়ালাপাড়ায় একটি মন্দিরের কাছে ধস নামে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকায় এর আগে, ২০১৬ সালে ৩০ ফুট এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। এ দিন সেই এলাকাটিই বেড়ে প্রায় ৫০ ফুট হয়ে গিয়েছে। একাধিক বাসিন্দা জানান, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আচমকা বিকট আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় অনেকের। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখেন ফের ধস নেমেছে। তবে, গত বছর ধসের জেরে তৈরি গর্ত বাসিন্দাদের বাধায় ভরাট করা যায়নি বলে অভিযোগ কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষের। শুধুমাত্র চার পাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়।

এ দিন ধস নামার খবর পেয়ে বিডিও-র (জামুড়িয়া) প্রতিনিধি হিসেবে মহম্মদ বাদশা শেখ নামে ব্লক অফিসের এক আধিকারিক এলাকা পরিদর্শন করেন। ধসের জেরে তৈরি হওয়া গর্তটিও ঘিরে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে ইসিএল। এর পরেই বিডিও-র প্রতিনিধি এবং বাসিন্দাদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন নিউকেন্দা কোলিয়ারির এজেন্ট ইউএস চৌবে। গোলমাল বাধে সেখানেই। পার্থ ভট্টাচার্য নামে এক বাসিন্দা বাদশাকে বৈঠকে যোগ দিতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। তাঁকে নিগ্রহও করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই এজেন্ট বৈঠক বাতিল করে দেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ। যদিও পার্থবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূল নেতা মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শুধু সম্প্রতিই নয়, ১৯৭৮ সালেও প্রায় একই জায়গায় ধস নামে। সেই সময়ে বাড়ির একটি ঘর, একটি গরু তলিয়ে যায় বলে প্রবীণ বাসিন্দারা জানান। তা ছাড়া বছর চারেক আগে শালডাঙা প্রাথমিক স্কুল ভবনে ফাটল ধরে। বছর দু’য়েক আগে পুরনো হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তা থেকে কয়েক ফুট দূরে ধস নামে ও আগুন বের হয়। মুকুলবাবুর আর্জি, “দ্রুত পুনর্বাসন দিয়ে বাসিন্দাদের রক্ষা করুক ইসিএল।’’ বিষয়টি নিয়ে কোলিয়ারির এজেন্ট বলেন, ‘‘এলাকাটি ধসপ্রবণ। পুনর্বাসনের টাকা বরাদ্দ করা হয়ে গিয়েছে। কবে থেকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা সংশ্লিষ্ট পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Landslide Kenda কেন্দা ECL
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE