Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪
Murder

Murder: পর পর তিনটি গুলি, ভাইকে খুনের অভিযোগে ধৃত দাদা

পুলিশ ও স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ইসিএলের কর্মী মহম্মদ আকবর আনসারির পাঁচ ছেলে একই বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকেন।

ঘটনার পরে তদন্তে পুলিশ। নাজিরপাড়ায়।

ঘটনার পরে তদন্তে পুলিশ। নাজিরপাড়ায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২২ ০৭:৪২
Share: Save:

ভাইকে গুলি করে খুনের অভিযোগে মহম্মদ হায়দার আনসারি নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া থানা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম মহম্মদ সফদর আনসারি (৩৩)। ঘটনার নেপথ্যে পারিবারিক বিবাদ থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। বুধবার শ্রীপুর গ্রাম লাগোয়া নাজিরপাড়ার ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ইসিএলের কর্মী মহম্মদ আকবর আনসারির পাঁচ ছেলে একই বাড়িতে আলাদা ভাবে থাকেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দার ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। সে সময় সফদর তাঁদের অশান্তি থামাতে যান। তখন হায়দারের সঙ্গে সফদরের বচসা বাধে। অভিযোগ, এর পরেই, হায়দার বাড়ির পাশে তাঁর স্টেশনারি দোকান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে পর পর তিনটি গুলি ছোড়েন। তার মধ্যে সফদরের পিঠে এবং মাথায় দু’টি গুলি লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, পিঠে লাগা গুলি সফদরকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দেয়। এর পরেই, পরিবারের লোকজন হায়দারকে আটকে রেখে সফদরকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানেই তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত করানো হয়।

হায়দারের বড় দাদা মহম্মদ আসগর আনসারি বলেন, “হায়দার প্রচণ্ড বদমেজাজি। প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করত। সে জন্য আমরা চার ভাই সব সময় বিব্রত থাকতাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের বাড়ির পাশেই বাবা হায়দারকে একটি আলাদা বাড়িও করে দিচ্ছিলেন।”

আসগর জানান, এ দিন হায়দার ও তাঁর স্ত্রী গজালা ঝগড়া করতে করতে বাড়ির বাইরে রাস্তায় চলে এসেছিলেন। সে সময় সফদর হায়দারকে বলেছিলেন, “তোমরা এ ভাবে বাড়ির বাইরে ঝগড়া করলে, বাড়ির ভাবমূর্তি খারাপ হবে। দয়া করে ঝগড়া থামাও।” আসগর নিজেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়ে, পুলিশের কাছে দাবি করেন, ঘটনার সময়ে, তিনি তাঁর নিজের দোকানে বসেছিলেন। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি ছোড়েন হায়দার। আসগরের কথায়, “ভাবতেই পারছি না এমন ঘটেছে! হায়দারের কঠোর শাস্তি চাই।”

সফদরের স্ত্রী নাজমা বানু জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, “দাদা, বৌদির ঝগড়া থামাতে গিয়েছিলেন আমার স্বামী। তা থেকে এই ঘটনা কেন, বুঝে উঠতে পারছি না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” অভিযোগ পাওয়ার পরেই হায়দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ দিন ঘটনার পরে এলাকায় গিয়েছিলেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসপি (‌সেন্ট্রাল ২) তথাগত পাণ্ডে। তিনি বলেন, “খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ কোথা থেকে জোগাড় করেছিলেন অভিযুক্ত, তা-ও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Murder arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy