সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন দেখতে এসেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে ঘিরে অভাব, অভিযোগের কথা জানালেন আউশগ্রামের শোকাডাঙার বাসিন্দাদের একাংশ। রাস্তার হাল বুঝতে কিছুটা পথ হেঁটেও দেখেন রাজ্যপাল। পরে বিষয়টি তাঁকে লিখিত ভাবে জানাতে বলেন তিনি। রাস্তার সঙ্গে পানীয় জল, পথবাতি নিয়েও তাঁর কাছে ক্ষোভ জানান মহিলারা।
রাজ্যপাল বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে আদিবাসীদের উন্নয়ন করা। সেই কারণেই আমি জনজাতিদের গ্রামে যাচ্ছি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জানছি এবং সেই সেগুলি সমাধান করার চেষ্টা করছি।’’
এ দিন স্থানীয় বাসিন্দা রানি হাঁসদা, সোনা কিস্কু, ফুলমনি হাঁসদা, জিয়ামনি চিত্রকরেরা দাবি করেন, গ্রামে রাস্তাঘাট একেবারেই নেই। বর্ষাকালে কাদার জন্য গ্রামে গাড়ি ঢোকে না। পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। পাইপ লাইন দিয়েছে। কিন্তু জল এখন আসেনি। পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসনকে জানানোর পরেও ব্যবস্থা হয়নি, অভিযোগ তাঁদের। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা সমস্যার কথা রাজ্যপালকে জানিয়েছি। উনি নিজের চোখে দেখে গেলেন। লিখিত ভাবে জানাতে বললেন। দেখা যাক, কবে কাজ হয়।’’
তৃণমূল পরিচালিত আউশগ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মদন হাঁসদার অভিযোগ, “বাম জমানাতেই এই এলাকায় যা উন্নয়ন হওয়ায় হয়েছে। তৃণমূল সরকার আসার পর থেকে আর কাজ হয়নি। রাস্তাঘাট, আবাস যোজনা, ঘর সব কিছু থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে আছি।’’ বিরোধী দল করাতেই এই বঞ্চনা বলে অভিযোগ তাঁর। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা আশা করছি রাজ্যপাল আমাদের আশা পূরণ করবেন।’’
যদিও জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারের দাবি, ‘‘আমাদের জেলায় রাজ্যপাল এসেছেন, খুব ভাল কথা। কিন্তু ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র সরকার। তাতে অনেক কাজের গতি কমেছে। তার পরেও ওই রাস্তা তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা ছিল। এ বারও ওই রাস্তা তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিজেপিশাসিত রাজ্যে জনজাতিদের কী অবস্থা সবাই জানেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জনজাতিদের আপন করার জন্য জয় জোহার থেকে নানা ভাতা চালু করেছেন।’’
রাজ্যপাল বলেন, “রাজ্যপাল হিসাবে আমার কর্তব্য মানুষের সুবিধা অসুবিধা দেখা, বিশেষ করে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়া। সেই কারণেই এই সফর।’’
এ দিন রাজ্যপাল আদিবাসী হস্তশিল্পের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দাকে উত্তরীয় এবং নিজের লেখা বই উপহার দেন। শিশুদের চকোলেটও বিলি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy